যে কারণে এমপিওভুক্ত হচ্ছে না অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নতুন করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার জন্য একটি তালিকা তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে হিসাবে প্রায় আট বছর পর দেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

তবে শর্তপূরণ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ আগস্ট  দেশে ফিরলে তালিকা প্রকাশ করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ নিয়ে এ তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তারপর সেটি গেজেট আকারে যেকোনো সময় প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার তালিকায় স্থান পাওয়ার বিষয়ে রোজই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তালিকায় তাদের এলাকার কয়টি বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হচ্ছে সে বিষয়টি জানতে চাচ্ছেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, অতীতে নীতিমালার সব শর্ত পূরণ করার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। এছাড়া আগে এমপিওদের ‘ডিও লেটারের’ ভিত্তিতেই এমপিওভুক্ত হয়েছিল। ফলে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠান তালিকায় স্থান পায়নি।

অবশ্য এবার কোনো অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নিয়মনীতি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।

জনপ্রতিনিধিদের চাপ সত্ত্বেও ১০০ নম্বরের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

চারটি প্রধান শর্ত পূরণ করতে পারলেই এই নম্বর মিলবে। শর্তগুলো হলো- একাডেমিকভাবে স্বীকৃতি, মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার। প্রতিটির মান ২৫ নম্বর করে ধরা হয়েছে। এ মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০১০ সালের ১৬ জুনে সর্বশেষ নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। সে সময় দেশের এক হাজার ৬০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হয়। এতে সরকারি বেতনের আওতায় আসেপ্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।