বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি, যোগ দিচ্ছে আবাসিক অনাবাসিক সব শিক্ষার্থী (ভিডিও)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাত কলেজর অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ৩য় দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও প্রশাসনিক ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ডাকসু ভিপি-জিএসসহ অনেকে শিক্ষার্থীদের সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। তৃতীয় দিনে আন্দোলনের গতি আরো বেগবান হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অধিভুক্ত বাতিলের বিভিন্ন স্লোগানে মুখোর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আন্দোলনে বিভিন্ন হল এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী থেকেও শিক্ষার্থীদের যোগ দিতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিতে তালা দেয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল লাইব্রেরী হয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মধ্যদিয়ে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ, মহসীন হল দিয়ে ঘুরে ভিসি চত্বর হয়ে কলা ভবন দিয়ে ঘুরে আবার ভিসি চত্বরে এসে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকরাম বলেন, প্রো-ভিসি স্যার আমাদের যে কথা বলেছেন না মেনে নেওয়ার মত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ৭৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন। আজ ভিসি স্যার আসবেন আমাদের দাবি, স্যার আসা মাত্র এর একটা ব্যবস্থা নিবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নিয়ে ডাকসু সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, কোন সক্ষমতার বাদ বিচার না করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সামনে যে ভোঁজা উপস্থাপন করেছেন, সে ভোঁজার ভার কখনো আমরা ভার বইতে চাই না। সেটা শুধু আজকে না, গত আড়াই বছর থেকে আমরা বলে আসছি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কথার প্রতি কোন কর্ণপাত করে নাই।

এসময় তিনি বলেন প্রশাসনে যত তালবাহা থাকুক না কেন, ঢাবি শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলে করতে হবে বলে উল্লেখ্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে আখতার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান- তার নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব যে স্বকীয়তা তা বিলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় ‍প্রশাসনের নেই। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে নিজেদের স্বকীয়তা বাঁচার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রশাসনে প্রতি আহবান জানান।

প্রসঙ্গত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিগত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। ফলে, গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনের মুখপাত্র মো শাকিল মিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে তালা দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম।