আইইউবিএটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম উৎসব উদযাপন

নাচ, গান, কবিতা আর অভিনয়ের বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালৃচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) উদযাপন হলো বাঙ্গালী দুই স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তী।

রবিবার সন্ধ্যায় আইইউবিএটির ওপেন অডিটোরিয়ামে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম উৎসব’ শিরোনামে এই আনন্দানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিসের তত্ত্বাবধায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই জমকালো উৎসবে অংশ গ্রহণ করেন। তাদের সংগীতের মূর্ছনায় আবিস্ট হয়ে উঠে উপস্থিত শ্রোতাবৃন্দ।

শুরুতেই সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাফার আনন্দলোক গানের সাথে সুর মিলিয়ে শ্রোতারাও হারিয়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্র সুরের ভুবনে। এরপর সমবেত কণ্ঠে নজরুলের জাগরণের গান ‘কাণ্ডারী হুশিয়ার’ পরিবেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় আমরা অন্যয়ের কাছে মাথা নত করার জাতি নই।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় মায়াবন বিহারিণী গানটি পরিবেশন করেন ভারতীয় নাগরিক আইইউবিএটির শিক্ষক দম্পতি অধ্যাপক ড. সৌমেন্দ্র সাহা এবং অধ্যাপক ড. শ্রীলেখা সাহা।

এসময় অনুষ্ঠানে ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় গানের সাথে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুবিনার একক নৃত্য দোলা দেয় উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মনে।

অনুষ্ঠানটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রায়নার গাওয়া রবীন্দ্র সংগীত আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে তোমায় পাইনি এবং সুমাইয়া, হুমায়ারা, কারিভা, স্বর্ণার নৃত্যের ছন্দে আরো বর্ণিল হয়ে উঠে। এরপর একে একে গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদয়, নাবিলসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম উৎসবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্টার, চেয়ার, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।