চট্টগ্রামে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ মেলা

ভারতের বেশ কয়েকটি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পেনিনসুলা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ মেলা। মেলায় ভারতবর্ষের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং বোর্ডিং স্কুলগুলোর শিক্ষার মান প্রদর্শনের জন্য ২২-২৩ জুলাই সোমবার ও মঙ্গলবার এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। একই ভাবে গত ১৯-২০ জুলাই শুক্রবার ও শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মেলাটি প্রদর্শীত হয় এবং ২৫ জুলাই খুলনার হোটেল সিটি ইন এ অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেলে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, সহকারী ভারতীয় হাই কমিশন চট্টগ্রামের সহকারী হাই কমিশনার আনিন্দা ব্যানার্জি।

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক স্থাপন করেছে শতাব্দী পুরাতন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক আকৃতির দ্বারা। দুদেশের আত্মকেন্দ্রিক সম্পর্কের কারণে জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নশীলে বড় একটি প্রভাব আছে। দুই দেশের সংযোগ স্থাপন ও জনগণকে শক্তিশালী করতে শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্টাডি ইন ইন্ডিয়া মেলায় ভারতের ৩০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং বোর্ডিং স্কুলগুলো বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকরা সহজেই ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বিষয়ে এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা এই মেলা থেকে তাদের চাহিদা, সুযোগ সুবিধা, কোর্স ফি, ইনস্টলমেন্ট সুবিধাসহ সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

মেলায় অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলো হলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকাল্যুরেট (আইবি), ক্যামব্রীজ (আইজিসিএসি), আইএসসিএইচ এবং সিবিএসই। মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে ধারনা, বিশ্বব্যাপী শিক্ষার অন্বেষণ, আরামদায়ক এবং নিরাপদ পরিবেশে সাশ্রয়ী মূল্যের খরচ জানতে একটি চমৎকার সুযোগ। অংশগ্রহণকারী বোডিং স্কুলগুলোর চমৎকার অবকাঠামো সুবিধা, শিক্ষণ অনুষদ, বহিরঙ্গন কার্যক্রম, ক্রীড়া এবং এএমপি সুবিধা প্রদান করবে। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড থ্রি থেকে দ্বাদশ শ্রেনি পর্যন্ত একচেটিয়ে কোহেড প্রদান করবে।

অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলো হলো- কাসিগা স্কুল (দেহরাদুন), বিড়লা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (রাজস্থান), এমআইটি পুনের বিশ্বশান্তি গুরুকুল (পুনে), ইকোলে গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল গার্লস স্কুল (দেহরাদুন), দিল্লি পাবলিক স্কুল (দুর্গাপুর), আদিত্য একাডেমী মাধ্যমিক স্কুল (কলকাতা), রেডব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল একাডেমী (বাঙ্গালুর), সঞ্জয় ঘোড়াওয়াত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (কোলহাপুর) ইত্যাদি।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের একটি বড় সংখ্যা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সবসময় ভারতকে এগিয়ে রাখে। কারণ পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় ভারতে শিক্ষা ব্যয় অনেক কম। এবং ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রায় একই ধরনের। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় এই মেলা অনুষ্ঠিত হলো।
এছাড়া মেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, প্যারামেডিকাল, ডেন্টাল, নার্সিং, জৈবপ্রযুক্তি, ফার্মেসী, আইটি, এমবিএ, বিবিএ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, সাংবাদিকতা, স্থাপত্য এবং আরও অনেক বিষয়সহ নিজ নিজ কলেজের মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

মেলায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের মধ্যে অন্যতম হলো- এমিটি ইউনিভার্সিটি (কলকাতা), আদমাস ইউনিভার্সিটি (কলকাতা), ব্রেইনওয়ার ইউনিভার্সিটি (কলকাতা), জেআইএস ইউনিভার্সিটি (কলকাতা), দয়ানন্দা সাগর বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যাঙ্গালোর), শ্রী রামচন্দ্র উচ্চতর ইনস্টিটিউট শিক্ষা ও গবেষণা (চেন্নাই), আদিত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কাকিন্দা), এসআরএম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস এবং প্রযুক্তি (চেন্নাই), আচার্য ইনস্টিটিউটস (ব্যাঙ্গালোর), এআইএমএস ইনস্টিটিউটস (ব্যাঙ্গালোর), শর্দা বিশ্ববিদ্যালয় (দিল্লি এনসিআর) মানব রচনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (দিল্লি এনসিআর), লাভলী পেশাগত বিশ্ববিদ্যালয় (পাঞ্জাব) অন্যতম।

প্রদর্শনীতে চেয়ারম্যান সঞ্জীব বলিয়া বলেন, ‘কর্মজীবনের বিষয়ে একটি সুনিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং একটি পেশাগত কোর্স চালিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র যদি আপনি মনে করেন যে এটিতে আপনি হতাশ না হন ও আগ্রহ দেখান এবং তারপরেও আপনার চাকরির সম্ভাবনা থাকতে পারে।’