হাসপাতালকেও হার মানাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশনস্থল

মৃত্যু ১ জন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০ জন, অসুস্থ ২২৭ জন

গত ১৬ জুন থেকে চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবিতে ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেছেন শিক্ষকরা। টানা ৩৪ দিনের অনশনে ইতোমধ্যে একজন প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুসহ ২৩৭ জন অসুস্থ হয়েছেন। এছাড়া মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রয়েছেন ১০ জন। এভাবে খোলা রাস্তায় গণহারে অসুস্থ অনশনরত শিক্ষকদের অবস্থা হাসপাতালের চিত্রকেও হার মানাবে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের আশ্বাস না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন। এতে বলা হয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশের ফুটপাতে ৩৪ দিন যাবৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি আমরা (বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি)। তবে এখনও আমরা কোনও সুখবর পায়নি। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। ওই সময় ২৬ হাজার ১৯৩ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান করা হয়েছিল। তার সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় জাতীয়করণ যোগ্য আরও ৪ হাজার ১৫৯ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। আর সেই জাতীয়করণের দাবিতে ৩৪ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি আমরা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য প্রেসক্লাবের সামনের জায়গায় অবস্থানের অনুমতি পায়নি আমরা। যার কারণে অবস্থান নিয়েছি সিরডাপের ফুটপাতে। এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আমাদের একজন শিক্ষক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আছে আরও ১০ জন। আর সব মিলিয়ে ২৩৭ জন অসুস্থ হয়েছে।

অনশনকারীদের একজন অঙ্কুজ দাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা। উনি আমাদের দুঃখ বুঝবেন। উনি আমাদের সমস্যা বুঝবেন। আমাদের সমস্যার যদি সমাধান না হয় তাহলে মরণ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবেনা। আমার নিজের জন্য কোন চিন্তা হয় না। আমার ভাবনা শুধু আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে। আমি ছাড়া তাদের দেখার কেউ নেই।