ঢাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ তিলোত্তমা যা বললেন (ভিডিও)

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার বলেছেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে কিসের আন্দোলন? শিক্ষার্থীদের সমস্যা সৃষ্টি করে কোন আন্দোলন হতে পারে না। হল থেকে বের হয়ে হেটে আসতে হচ্ছে। ক্লাস করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্লক করলে চলবে না। ইউনিভার্সিটির বাইরে গিয়ে আন্দোলন করতে হবে। আমরাও একাত্মতা প্রকাশ করছি, তবে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন চলবে না।’

চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে ক্লাস হচ্ছে না। এছাড়া সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

এর আগে আজ সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর, রোকেয়া হলের সামনের সড়ক, শাহবাগসহ বিভিন্ন মোড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এতে ওইসব সড়ক দিয়ে সব ধরণের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোফাজ্জল সাদাত বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি হচ্ছে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চাই। যেখানে ঢাবি শিক্ষার্থীদের দেখভাল করতে পারে না সেখানে আরও দুই লাখ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব কিভাবে নেয়?’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রী আশোফা তাসনিফ বলেন, ‘আমরা এতো কষ্ট করে ঢাবিতে চান্স পেয়েছি। কিন্তু আমাদের সমস্যার শেষ নেই। অথচ ক্ষনিকা বাস এবং চৈতালি বাসে বোনকে যে হয়রানি করা হয়েছে, আমরা তার বিচার চাই। সাত কলেজের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক বাজে মন্তব্য করছে আমরা এর বিচার চাই।’

এসময় অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ‘শোন বোন শোন ভাই, ঢাবির কোন শাখা নাই’, ‘ঢাবির বাস আটকা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আশ্বাস বা প্রতারণা, চলবে না চলবে না’, ‘সাত কলেজের ঠিকানা, ঢাবি হবে না’, ‘রাখতে ঢাবির সম্মান, সাত কলেজ বেমানান’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়  আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।