সমালোচনার মধ্য দিয়ে পার হল শেকৃবির বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

তর্ক, বিতর্ক আর নানা সমালোচনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। প্রশাসনের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের জন্য নানা কর্মসূচী নেওয়া হলেও সন্তুষ্ট নন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দিন দিন দিবসটি উদযাপনের মান নীচে নামছে।

সোমবার সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবন সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে শেকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড.কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়।

এদিকে এই দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখা, নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের গুটি কয়েক কর্মীদের নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা, কোন ধরনের সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা, জন্মদিনের জন্য নিন্মমানের কেক কাটা এবং দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোন রকম টি-শার্টের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজির রাজু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ‘সাউ কমিউনিটি’ নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে দিবসটি উদযাপনের সমালোচনা করে লিখেছেন, “২০১৬ সালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আর আজকের ২০১৯ সালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী! এভাবে চলতে থাকলে হয়তো ৫/১০ বছর পরে এই দিন পালন বলে কিছু থাকবে না। এটা এখন আর সার্বজনীন নাই, গুটি কিছু মানুষ থাকলেই হইছে। কেক কাটছে আর পাশ দিয়ে কিছু ছেলে মেয়ে সিটে মুখ ডুবিয়ে এক্সামের প্রিপারেশন নিয়ে এক্সাম দিতে যাচ্ছে!

সাধারণ দোকানের নিম্নমানের দুটি কেক একসাথে জোড়া দিয়ে দিবসটির কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। যেখানে কেকের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পর্যন্ত লিখা ছিল না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে একদিন আগ থেকেই রংবেরং এর ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনের দেয়াল। বিশ্বদ্যিালয়ের রাস্তার দুই পাশের সারি সারি গাছগুলোও বাদ পড়েনি আলোকসজ্জা থেকে।