সুপার ওভার টাইয়ের পরও কেন বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড?

এবারই বিশ্বকাপে চালু হয়েছে সুপার ওভারের নিয়মটি। বিশেষ করে সেমিফাইনাল আর ফাইনালে যদি টাই হয় তাহলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে।নিয়ম চালুর বছরই সুপার ওভারেই ফয়সালা হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। মূল ম্যাচের নির্ধারিত ৫০ ওভার করে খেলেছে দুই দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। এ রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের ইনিংসে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ঠিক ২৪১ রানই করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।

ট্রফি যাবে কার ঘরে- সেই সমাধানের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল গড়ালো সুপার ওভারে। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে জস বাটলার ও বেন স্টোকসের জুটি ১৫ রান তোলেন। স্টোক ৩ বলে ৮ ও বাটলার ৩ বলে ৭ রান করেন। সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের হয়ে বোলিং করেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিউজিল্যান্ডের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৬ রানের। কিন্তু আটকে যায় ঠিক ১৫ রানে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম সুপার ওভারও শেষ হলো টাইয়ে!

তবু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ষষ্ঠ বলে মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করেই উল্লাসে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড। কারণ তাদের জানা ছিলো সুপার ওভারেও টাই হলে শিরোপা উঠবে তাদেরই ঘরে।

সুপার ওভারের নিয়ম

সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী, যদি এ ৬ বলেও ম্যাচের ফলাফল না হয়, তা হলে যে দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, সেই দলকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। দু’দলের মারা বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়েও যদি ম্যাচের নিষ্পত্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে কী হবে? তখন দেখা হবে সুপার ওভারের শেষ বলে কোন দল কত রান করেছে। যে দল বেশি রান করেছে, নিয়ম অনুযায়ী সেই দলই জিতবে।

সুপার ওভারে জিমি নিশাম নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একটি ছক্কা মেরেছেন, ওদিকে বাটলার ও স্টোকস মেরেছেন দুই চার। সুপার ওভার সমতা হলে ইংল্যান্ড জিতবে সেটা আগেই জানা ছিল। নিউজিল্যান্ড মূল ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি মেরেছিল। আর ইংল্যান্ড মেরেছিল ২৪টি। ফলে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড যত বাউন্ডারিই মারুক না কেন ইংল্যান্ডকে টপকাতে পারত না তারা। আর এ কারণেই সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরও কোনো চিন্তা ছাড়া পাগলাটে আনন্দে মাতল ইংল্যান্ড। তিনটি ফাইনাল হারার দুঃখ ভুলে লর্ডসেই ট্রফি নিয়ে উদ্‌যাপন করল ইংল্যান্ড।