প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন প্রশ্নফাঁসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে প্রথম ধাপের এবং ৩১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে।

বক্তারা বলেন, ‘এ দুটি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ অন্য অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাসচিব সব জেলায় তদন্ত কমিটি না করে মাত্র চারটি জেলায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার আগে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলে সারাদেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে আবারো আন্দোলনে নামবেন তারা।’

সুনামগঞ্জে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি দিন-রাতের মতোই সত্য উল্লেখ করে এ আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসকারীদের বারবার জামিন দিয়ে সরকার প্রশ্নফাঁসকারীদের পক্ষ নিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) মহাপরিচালক বলেছিলেন, তদন্ত কমিটি জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। কিন্তু আজ জুলাই মাসের ১২ দিন অতিবাহিত হতে যাচ্ছে, তদন্ত আর শেষ হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করে পরীক্ষার ফলাফল দিলে বাংলার ছাত্র-সমাজকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা আশা করি না, এই প্রশ্নফাঁসের কারণে হতাশ হয়ে কোনো শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করুক। যদি তেমন কিছু হয়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য চরম দুঃখের হবে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে, সেটা প্রমাণিত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেটার প্রমাণ মিলেছে। প্রশ্নফাঁস যারা করেছেন, তারা আটকও হয়েছেন, জামিনেও ছাড়া পেয়েছেন। এমন অবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিলে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।’