ময়মনসিংহে নতুন কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা সদর থেকে শোডাউন করে গৌরীপুর উপজেলা সদরে প্রবেশের সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ারও ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব এবং সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. সব্যসাচী স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী এক বছরের জন্য উপজেলা ও পৌর কমিটি অনুমোদনের কথা জানানো হয়। নতুন কমিটিতে আল মুক্তাদির শাহীনকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ইমতিয়াজ সুলতান জনিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

একইসঙ্গে আল হোসাইনকে সভাপতি এবং মোফাজ্জল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই কমিটির নেতারাই আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এদিকে নতুন কমিটির নেতাদের উপজেলায় সদরে প্রবেশের খবরে বিক্ষুদ্ধরা সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পদবঞ্চিতরা বিকেল থেকেই পৌর শহরের প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করে।

আর নতুন কমিটির পদধারী নেতারা উপজেলায় প্রবেশ করে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নিতে চাইলে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনি জানান, কমিটিতে পদ না পেয়ে মিজানদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা গায়ের জোরে কমিটি বহাল করতে চেয়েছিল। সেটি না পেরে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অপরদিকে নতুন কমিটির নেতারা গৌরীপুর উপজেলায় প্রবেশের সময় স্থানীয় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ আজিজুল ইসলামের মালিকানাধীন কলতাপাড়াস্থ সোয়াদ ফিলিং স্টেশনে বাকিতে তেল আনতে যায়। এ সময় পাম্পের কর্মচারীরা তাদের বাকিতে তেল না দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পেট্রলপাম্পে ভাংচুর চালায় বলে বিএনপি নেতা অভিযোগ করে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। তবে পেট্রোল পাম্প ভাংচুরের কোনো খবর তার জানা নেই বলেও জানান তিনি।