ধর্ষণ, খুনের প্রতিবাদে কোটা আন্দোলনকারীদের র‌্যালি শুরু

দেশব্যাপী খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত র‌্যালি শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এতে সংগঠনের আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও ফারুক হাসান নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

র‌্যালির বিষয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘একমাত্র তরুণরাই পারে ধর্ষণের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে। এতো আলোচনা হচ্ছে, মিডিয়াতে এতো এতো নিউজ হচ্ছে। কিন্তু ধর্ষণ কমছে না। বরং একের পর এক বেড়েই চলেছে ধর্ষণের সংখ্যা।’

তারা বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশের তরুণীরা ঘরে, বাহিরে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথায় নিরাপদ নয়। ঘরে নির্যাতিত হচ্ছে নিকট আত্মীয়ের দ্বারা, রাস্তায় বখাটেদের দ্বারা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষক নামের কুলাঙ্গারদের দ্বারা। আমাদের সমাজের এতোটাই অবক্ষয় হয়েছে যে, মায়ের কোলের কোমলমতি শিশুরাও আজ নিরাপদ নয়। আজকে ৫-৭ বছরের শিশুদেরকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না এই হায়েনাদের ছোবল থেকে।’

মুহাম্মাদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘সরকার যখন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ, সাধারণ জনগণ হিসেবে অবশ্যই আমাদের চুপ থাকা উচিত নয়। কথা বলতে হবে, ধর্ষককে প্রতিহত করতে হবে। আর এজন্যই ধর্ষণ রোধে প্রতিটা গ্রাম,পাড়া,মহল্লা,ইউনিয়নে তরুণদের সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে ধর্ষণ বিরোধী সেল। এই সেলের কাজ হবে সমাজের বিকৃতমস্তিষ্কের লোকগুলোতে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘শুধু মাত্র ধর্ষককেই প্রতিরোধ করা নয়, বরং যে মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দিয়ে তাকায়, বাজে মন্তব্য করে, চালচলনে সমস্যা আছে, এক কথায় ইভ টিজার, এসব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধেও এ্যাকশন নিতে হবে। এছাড়া খুনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। হালকা বাকবিতণ্ডা থেকে খুনাখুনির ঘটনা প্রতিদিন ঘটেই চলেছে। আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে আজ মানুষ বেপরোয়া হয়ে উঠতে সামান্য ভয় পায় না। আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিত হয়ে অপরাধীদেরকে রুখে দিতে হবে।’