ধর্ষণ, খুন ও দুর্নীতি রোধে র‌্যালি করবে কোটা আন্দোলনকারীরা

দেশে ধর্ষণ, খুন ও দুর্নীতি রোধে সচেতনতামূলক র‌্যালি করবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আগামী বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই র‌্যালি বের করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনটির নেতারা জানান, জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এই র‌্যালি আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

র‌্যালির বিষয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একমাত্র তরুণরাই পারে ধর্ষণের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে। এতো আলোচনা হচ্ছে, মিডিয়াতে এতো এতো নিউজ হচ্ছে। কিন্তু ধর্ষণ কমছে না। বরং একের পর এক বেড়েই চলেছে ধর্ষণের সংখ্যা। আজকে বাংলাদেশের তরুণীরা ঘরে, বাহিরে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথায় নিরাপদ নয়। ঘরে নির্যাতিত হচ্ছে নিকট আত্মীয়ের দ্বারা, রাস্তায় বখাটেদের দ্বারা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষক নামের কুলাঙ্গারদের দ্বারা। আমাদের সমাজের এতোটাই অবক্ষয় হয়েছে যে, মায়ের কোলের কোমলমতি শিশুরাও আজ নিরাপদ নয়। আজকে ৫-৭ বছরের শিশুদেরকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না এই হায়েনাদের ছোবল থেকে।

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খাঁন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এমতাবস্থায় আমরা কি করতে পারি? সরকার যখন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ, সাধারণ জনগণ হিসেবে অবশ্যই আমাদের চুপ থাকা উচিত নয়। কথা বলতে হবে, ধর্ষককে প্রতিহত করতে হবে। আর এজন্যই ধর্ষণ রোধে প্রতিটা গ্রাম,পাড়া,মহল্লা,ইউনিয়নে তরুণদের সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে ধর্ষণ বিরোধী সেল। এই সেলের কাজ হবে সমাজের বিকৃতমস্তিষ্কের লোকগুলোতে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। শুধু মাত্র ধর্ষককেই প্রতিরোধ করা নয়, বরং যে মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দিয়ে তাকায়, বাজে মন্তব্য করে, চালচলনে সমস্যা আছে, এক কথায় ইভ টিজার, এসব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধেও এ্যাকশন নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া খুনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। হালকা বাকবিতণ্ডা থেকে খুনাখুনির ঘটনা প্রতিদিন ঘটেই চলেছে। আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে আজ মানুষ বেপরোয়া হয়ে উঠতে সামান্য ভয় পায় না। আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিত হয়ে অপরাধীদেরকে রুখে দিতে হবে।

সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। দেশের প্রতিটা সেক্টর আজ দুর্নীতিতে জর্জরিত। অফিস আদালতে যেকোন সেবা নিতে গেলে আজ ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া অফিস আদালতে কোন কাজ হয় না। কৃত্রিমভাবে দিনের পর দিন ফাইল আটকিয়ে রাখা হয়। এসবের বিরুদ্ধে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। সকলে সম্মিলিত হয়ে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের রুখে দিতে হবে।