আয় বেড়েছে ওরাকলের

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকল কর্পোরেশন ২০১৯ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকসহ পুরো বছরের ফলাফল প্রকাশ করেছে। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় এ বছর চতুর্থ প্রান্তিকের মোট আয় মার্কিন ডলারে ১ শতাংশ এবং ধ্রুব মুদ্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে ১১.১ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। 

আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ সংস্থা ইমপ্যাক্ট পিআর জানায়, ২০১৯ সালে ওরাকলেল ক্লাউড সার্ভিস এবং লাইসেন্স সাপোর্ট আয় ৬.৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে যেখানে ক্লাউড লাইসেন্স ও অন-প্রিমিজ লাইসেন্স আয় হয়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার। মোট ক্লাউড সার্ভিস ও লাইসেন্স সাপোর্ট এবং ক্লাউড লাইসেন্স ও অন-প্রিমিজ লাইসেন্স আয় ৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ডলারে ৩ শতাংশ ও ধ্রুব মুদ্রায় ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চতুর্থ প্রান্তিকে জিএএপি অপারেটিং আয় ২ শতাংশ বেড়ে ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে যেখানে জিএএপি মার্জিন ছিল ৩৮ শতাংশ । নন জিএএপি অপারেটিং আয় ৪ শতাংশ বেড়ে ৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে যেখানে নন জিএএপি মার্জিন ছিল ৪৭ শতাংশ। জিএএপি ও নন জিএএপি মোট আয় যথাক্রমে ১৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩.৭ ও ৪.১ বিলিয়ন মার্কন ডলার। জিএএপি ও নন জিএএপি আয় শেয়ার প্রতি যথাক্রমে ১.০৭ ও ১.১৬ ডলার হয়েছে। 

স্বল্পমেয়াদে বিলম্বিত আয় হয়েছে ৮.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ অর্থবছরের অপারেটিং অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার।

২০১৯ অর্থবছরের মোট আয় মার্কিন ডলারে কিছুটা বেড়ে ও ধ্রুব মুদ্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৯.৫ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাউড সার্ভিস ও লাইসেন্স সাপোর্ট আয় ছিল ২৬.৭ বিলিয়ন ডলার যেখানে ক্লাউড লাইসেন্স ও অন-প্রিমিজ লাইসেন্স আয় ছিল ৫.৯ বিলিয়ন ডলার। মোট ক্লাউড সার্ভিস ও লাইসেন্স সাপোর্ট এবং ক্লাউড লাইসেন্স ও অন-প্রিমাইজ লাইসেন্স আয় ৩২.৬ বিলিয়ন ডলার যা মার্কিন ডলারে ২ শতাংশ ও ধ্রুব মুদ্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৯ অর্থবছরে জিএএপি অপারেটিং আয় ১৩.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে যেখানে জিএএপি অপারেটিং মার্জিন ৩৪ শতাংশ ছিল। নন জিএএপি অপারেটিং আয় ১৭.৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে যেখানে নন জিএএপি মার্জিন ছিল ৪৪ শতাংশ। জিএএপি ও নন জিএএপি মোট আয় যথাক্রমে ১১.১ ও ১৩.১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। জিএএপি ও নন জিএএপি আয় শেয়ার প্রতি যথাক্রমে ২৫১ শতাংশ ও ১৬ শতাংশ বেড়ে ২.৯৭ ও ৩.৫২ ডলার হয়েছে।
ওরাকলের সিইও সাফরা ক্যাটজ বলেন, “চতুর্থ প্রান্তিকে এসে আমাদের নন-জিএএপি অপারেটিং আয় ধ্রুব মুদ্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা ইপিএসকে আমার নির্দেশনারও চেয়েও ভালোভাবে পরিচালিত করেছে।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের হাই-মার্জিন ফিউশন ও নেটসুইট ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে আমরা আমাদের লো-মার্জিন লিগেসি হার্ডওয়্যার ব্যবসা সঙ্কুচিত করে ফেলছি। এই হার্ডওয়্যারের থেকে ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবসায় স্থানান্তরে মোট ফলাফল ছিল চতুর্থ প্রান্তিকে ৪৭ শতাংশ নন জিএএপি অপারেটিং মার্জিন যা বিগত পাঁচ বছরে ছিল সর্বোচ্চ।”

ওরাকলের সিইও মার্ক র্হাড বলেন, “ আমাদের ফিউশন ইআরপি ও এইচসিএম ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন সুইট ব্যবসা ২০১৯ অর্থবছরে ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের নেটসুইট ইআরপি ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন আয়ও এই বছর ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অসাধারণ ফলাফলই বলে দিচ্ছে ওরাকল বিশ্বব্যাপী ক্লাউড ইআরপি ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবসা প্রতিযোগীদের তুলনায় দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।” হার্ড ইন্ডাস্ট্রি এনালিস্ট আইডিসি থেকে অনুমোদিত বিবৃতির প্রতি সকলের মনোযোগ আশা করেন।

আইডিসির সর্বশেষ বার্ষিক মার্কেট শেয়ার ফলাফল অনুসারে, এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন সাস ভেন্ডরদের মধ্যে তিন বছরে (অর্থবছর ২০১৬-১৮) সারা বিশে^ ওরাকল সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছে।
ওরাকলের চেয়ারম্যান ও সিটিও ল্যারি এলিসন বলেন, “চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা প্রায় চার হাজারেরও বেশি অটোনোম্যাস ডাটাবেজ ট্রায়াল যোগ করেছি। আমাদের নতুন দ্বিতীয় প্রজন্মের ক্লাউড কাঠামো গ্রাহকদের শক্তিশালী সুবিন্যস্ত আধুনিক প্রযুক্তি প্রদান করেছে যার মধ্যে রয়েছে স্বচালিত ডাটাবেজ যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকল তথ্য এনক্রিপ্ট করে, নিজে নিজে ব্যাকআপ রাখে, নিজে থেকেই টিউন হয়, আপগ্রেড হয় এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি সনাক্ত করলে নিজেকে রক্ষা করে। এইসব কিছুই সে সচল থাকা অবস্থায় তাৎক্ষনিকভাবে কারো হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারে। অন্য কোন ক্লাউড কাঠামো এমনটা পারে না।”

এছাড়াও বোর্ড অব ডিরেক্টররা শেয়ার প্রতি ০.২৪ ডলার ত্রৈমাসিক নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেন। এই লভ্যাংশ অংশীদারদের আগামী ১৭ জুলাই হতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রদান করা হবে।