শিক্ষকের জোড়া বেত্রাঘাতে আহত ছাত্র, মামলা

আহত শিক্ষার্থী

সহপাঠিকে গালাগাল করার অভিযোগে মো. নেজামুল হক নামে এক মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন মাদরাসার শিক্ষক মো. আল-আমীন। এ ঘটনায় রোববার ওই শিক্ষককে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

শনিবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার শাহগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক পালাতক আছেন।

নেজামুল জানায়, ওই উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের পুত্র। সে মাইজহাটি শাহগঞ্জ দারুস উলুম কওমী মাদ্রাসায় নাজেরা বিভাগে পড়ালেখা করে।

শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো সে কোরআন পড়ছিল। এ সময় হুজুর (শিক্ষক) আল-আমীন জানতে চায় রবিউলকে গালাগাল করেছে। এ সময় সে গালাগাল করেনি বলে উত্তর দিলে হুজুর কিছু না বলেই দুইটি বেত একত্রে করে তাকে বেদম পিটাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে হুজুরের পা ধরে আকুতি মিনতি করেও মার থেকে পার পায়নি। পরে বেত ভেঙ্গে গেলে মার থামে। এ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

আহত নেজামুলের বাবা মজিবুর রহমান জানান, তাঁর ছেলেকে এতই মেরেছে যে এখন সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। পুরো পিট ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লালছে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদরাসার প্রধান তৌফিকুল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষক এভাবে মারতে পারে না। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পালিয়ে গেছে। তাঁকে খোঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহমেদ কবির বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষককে খোঁজা হচ্ছে।