মানুষের সংক্রামক রোগের ৭৫ ভাগের বাহক প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্য

সম্প্রতি আবির্ভূত হওয়া মানুষের ক্ষতিকর সংক্রামক রোগের শতকরা ৭৫ ভাগের উৎপত্তি ঘটে বিভিন্ন প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্য হতে। এসব মারাত্মক ক্ষতিকর রোগের হাত থেকে মুক্তির জন্য মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে। কারণ মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশ এক অপরের সাথে সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত। গতকাল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি ) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভায় গবেষকরা এসব কথা বলেন।

ওয়ান হেলথ এর ধারণা ও কার্যক্রমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে শেকৃবির মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগ, ওয়ান হেলথ সেক্রেটারিয়েট বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়ান হেলথ ওরিয়েন্টেশন শীর্ষক কর্মশালাটির আয়োজন করে। শেকৃবি’র মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কেবিএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।এছাড়া সম্মানিত অতিথি এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোগ তত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রফেসর ড. তাহমিনা শিরীন এবং ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ ডা. আবুল কালাম আজাদ।

কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষতিকর রোগ-ব্যাধির বিস্তার, প্রভাব ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা এবং এক্ষেত্রে ওয়ান হেলথ এর ভূমিকা এবং গুরুত্ব সর্ম্পকে আলোকপাত করেন। এ ধরনের কর্মশালার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতা প্রসঙ্গে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম জানান, সারা বিশ্বে ওয়ান হেলথ বা একস্বাস্থ্য এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও বাংলাদেশে এই ধারনাটি তুলনামূলক নতুন। এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক ধ্যান-ধারনার সৃষ্টি হবে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যে প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা উচিত এই বোধ তৈরি হবে এবং সেটা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ জন্মাবে।

কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী ৫০ জন ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে ফ্রি রেজিস্টেশনের ব্যব¯’া করা হয়।