অর্থমন্ত্রী অসুস্থ, লিডারশীপ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

বাজেট বক্তৃতার শুরুর পর বারবার থেমে যাচ্ছিলেন অর্থমন্ত্রী। একপর্যায়ে ওষুধ খাওয়ার জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়ে নেন তিনি।স্পিকার সময় মঞ্জুর করেন। পরে স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে বাজেট বক্তব্য পাঠের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে দেশীয় ফেসবুকে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার শুরুতে স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। উনার (অর্থমন্ত্রী) চোখে অপারেশনের জন্য পড়তে সমস্যা হচ্ছে। আমার নিজেরও ঠান্ডা লেগে আছে। এ অবস্থায় অনুমতি পেলে বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশটুকু আমি পাঠ করতে চাই। বাকিটুকু আমি পড়ে দিতে চাই যদি আপনি অনুমতি দেন। বক্তৃতার এক অংশে নিজের প্রশংসা আসার পর হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, মাননীয় স্পিকার আমি কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দিচ্ছি।

প্রথানুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চিরচেনা কালো ব্যাগ নিয়ে সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর পরেই সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট।

শুরুতেই মাল্টিমিডিয়া প্রজেকশনের মাধ্যমে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থসামাজিক বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার এমন উদাহরণে প্রশংসায় ভাসছে নেট দুনিয়া। নাদিম মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘অর্থমন্ত্রী যে চোখের যে রোগে ভুগছেন প্রধানমন্ত্রীও একই রোগে নাকি চোখের অপারেশন করিয়েছেন। পরিবারে মায়ে ও সন্তানের একই সাথে জ্বর হলে যেমন মায়েরা সন্তানের সেবা যত্ন করতে ভুলে যায় না, ঠিক তেমনি মায়ের জাত বলে প্রধানমন্ত্রীও সেই উদারতায় দেখালেন।’

মাহবুবুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘অসুস্থ হওয়ায় অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রী নিজে পড়ছেন। সত্যিই এটা লিডারশীপ।’ এছাড়াও ফেসবুক ঘিরে নানা ধরণের মন্তব্য পাওয়া গেছে।