১৮তম দিনে পদ বঞ্চিতদের অবস্থান, কেউ খোঁজ নেননি

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া এবং যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন করার দাবিতে টানা ১৮তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পদ বঞ্চিতরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবে এতদিনেও কেউ তাদের খোঁজ নেননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালে ঈদুল ফিতরের দিনও সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ পড়ে আবারও সেখানে অবস্থানে বসেন তারা। এখনো সে কর্মসূচি চলছে। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসে তারা দুদফা কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন। তবে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ফের টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।

ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের দাবি যে যৌক্তিক ছিলো তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এছাড়া আমরা টানা অবস্থান করছি, কিন্তু কেউ খোঁজ নেয়নি। শিগগিরই দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’

এসময় তাদের আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যে ধরণের কথা বলছেন তা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ ধরণের বক্তব্য প্রত্যাশা করি না।’ সমস্যা সমাধানে তাদেরকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।

অপর পদ বঞ্চিত নেতা জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চলতে পারে না।’ দু‘একদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন বলেও তিনি জানান।

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পদ বঞ্চিতরা। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন তারা।

অবশ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি থেকে বাদ পড়া ১৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার বিষয়টিকে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশ ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।