ডাকসু নির্বাচনে ‘সুষ্ঠু প্রতিবেদন’ না দেওয়ায় রিট করবেন রাশেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ‘সুষ্ঠু প্রতিবেদন’ দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে আদালতে রিট করবেন জিএস (সাধারন সম্পাদক) পদপ্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। আজ শুক্রবার তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ডাকসু নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগপত্র দাখিল করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারন শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের মনোনিত জিএস প্রার্থী রাশেদ খান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় তদন্ত কমিটি।

তবে ডাকসু নির্বাচনে কোন ধরণের ‘কারচুপি’র প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে প্রমাণসহ কারচুপির অভিযোগ দিলেও তদন্ত কমিটি কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাশেদ খান। এজন্য তিনি আদালতে রিট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে রাশেদ খান বলেন, ‘আমি আসলে তাদের উপর আস্থা রেখেছিলাম যে ডাকসু নির্বাচনে যে কারচুপি হয়েছে তারা তা তুলে ধরবেন। এখন মনে হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের কারচুপি লুকাতে গিয়ে তদন্ত কমিটিতে যারা ছিল তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকের আস্থা হারিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর এখন আর আস্থা রাখার বিন্দুমাত্র অবকাশ নাই।’

তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগের সুষ্ঠু প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। আমরা রোকেয়া হলের ঘটনা দেখেছি, কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনা দেখেছি। এসব ঘটনার কারচুপির সঙ্গে শিক্ষকরা জড়িত। তা প্রমান দেওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ বলে কোন কারচুপি হয়নি।’

রাশেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি একটি হাস্যকর প্রতিবেদন দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য যে অধঃপতন হয়েছে এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি। শিক্ষকদের সাথে বারবার যোগাযোগ রাখার পরে তারা আমাকে বলেছিল তাদের উপর আস্থা রাখার জন্য। কিন্তু তারা তাদের আস্তার জায়গাটুকু নষ্ট করে ফেলল। এখন আর তাদের উপর আস্থা রাখার কোন সুযোগ নাই।’ এজন্য এর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন এবং আদালতে রিট করবেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের পর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহবায়ক করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।