অভিভাবকের কাছে ফিরবে গহীন

বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া সেই শিশুটিকে ছোটমনি নিবাসে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করার পর থেকে বাবা-মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া পলি বেগম ও রাসেল মাহমুদ বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোটমনি নিবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন তাকে। তারা শিশুটির নাম দিয়েছেন গহীন।

শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, `এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এরপর চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। এখন আর আমাদের এখানে রাখার কোনও নিয়ম নেই। বাকিটা আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। তিনি আরো বলছেন, এ ধরনের কোনও শিশু উদ্ধারের ঘটনা ঘটলে শিশুনিবাসে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার শিশুদের দত্তক নিতে আগ্রহীদের পারিবারিক আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়। কোনও শিশুর জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়লে আদালত তখন তাদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে একটি দম্পতিকে নির্বাচন করেন।

কুড়িয়ে পাওয়া শিশু সন্তানটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকেন পলি বেগম। শিশু হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল মাহমুদ ও তার স্ত্রী পলি বেগমের ১০ বছরের সংসার জীবনে কোনও সন্তান আসেনি। তারাই শিশুটিকে দত্তক নিতে চান। হাসপাতাল থেকে কোনও শিশুকে হস্তান্তরের নিয়ম না থাকায় গহীনকে শিশুমনি নিবাসে পাঠানো হলো। সদ্যজাত শিশুটিকে আদর-যত্নে সুস্থ করে তোলেন পলি বেগম। আজও তার কোলেই ছিল গহীন। হস্তান্তরের সময় পলি বেগম কান্নাজড়িত উদ্বিগ্ন চোখে তাকিয়ে ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখলেও আইনে না থাকায় ছোটমনি নিবাসেই পাঠানো হয়েছে শিশুটিকে।