‘শরীরে আগুন দিয়ে দাবি জানানো লাগবে?’

ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণার প্রায় এক বছর পর ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর থেকেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার কমিটি নিয়ে খোলা প্রশ্ন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো: রুম্মন মিয়া।

‘আমার খোলা প্রশ্ন’ চিঠি শিরোনামে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সকল বড় ভাইরা, যেমন- হতে পারে সে এখন সাবেক মন্ত্রী/বর্তমান মন্ত্রী/উপ-মন্ত্রী/ এমপি /উপজেলা চেয়ারম্যান/আমলা/যারা আওয়মী সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি করেন। তা হলো- কোনকালেই আমি আমার প্রানের সংগঠনকে ছোট বা বিতর্কিত করার পক্ষে না, কারণ আমি তো এই ছাত্রলীগ সংগঠনটাই করি বা করবো এই ভেবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে আমাকে পরিচয় দিতে হবে আমি অমুক+অমুক ভাইয়ের কমিটির নেতা, তাহলে অমুক+অমুক ভাইকে ছোট করলে আমার পরিচয়টাইতো হালকা হয় ভেবে আমি এসব ঘৃণ্য ব্লেম গেমের বিপক্ষে। আমি মানুষ, আপনি মানুষ তাই আমরা ভুল করবো এটা অনুমেয় কিন্তু সংগঠনের বিরুদ্ধে যায় না, এমন ভুল তুলে আনা তো ব্লেম গেম। কিন্তু কেও ভুল করলে বা মিথ্যাচার করলে বা কর্মীবান্ধব না হলে আমি ধরিয়েও দেবো বা সমাধানও দেবো ভাই এটা করলে ভালো হয়।’

ছাত্রলীগের এই নেতা বলেছেন, ‘শোভন ভাই ও রব্বানী ভাই যখন কমিটিতে আসে তখন অনেক খুশি হয়েছিলাম, কারণ একজন বন্ধু ও একজন হলের ইমিডিয়েট বড় ভাই ছিলো। কিন্তু কিছুদিন যেতেই হতাশা আসতে শুরু করলো এটা শুনতে শুনতে, আমি নাকি সিন্ডিকেটের লোক! পদ পাবো না। হতাশ হলাম এবং অনেক কর্মকাণ্ডে এটা প্রমানও পেলাম। কিন্তু এরকম আশার বাতিঘর নামক একটা কমিটির কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বেলার ৮৩ বিতর্কিত।’

তিনি বলেন, ‘প্রমান দিতে সংবাদ সম্মেলন এবং হামলার শিকার হলাম। এই ৮৩ বিতর্কিতদের মধ্যে ১৭/১৮জন বাদ দিয়ে ১৭/১৮ জন ঢুকিয়ে দিয়ে তারমধ্যে তাদের ১০ বঞ্চিত ৭/৮ আবারও নিজবঙ্গের অনুসারী দিয়ে কমিটি দিলে আবার আপারে এগুলো বলবে কে? আমাদের পরিবার আছে, তাদের আরো চার বছর আগে অনেক কিছু দেওয়ার কথা দিতে তো পারিনি উল্টা নিয়েছি।

দেশরত্নের সাথে কেও দেখা করার ব্যবস্থা করে দিলে আপাকে বলতাম, ‘আপা আমাদের বয়স শেষ শেষ, রাজনীতিটাই আমরা করেছি ১০ বছর ধরে, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর সহ-সভাপতি ছিলাম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলাম কিন্তু এখন এসে এমন অবমূল্যায় সাথে বোনদের বাঁচাতে গিয়ে মার খাওয়া এখন আবার নানাবিধ হুমকি। আমাদের মূল্যায়ন তো এখন আরো হবেনা কারণ আমরা আন্দোলন করছি এখন।’

তিনি বলেন, ‘তাহলে কি তিউনিশিয়ার ওই যুবকের পথটাই বেছে নিয়ে আমাদের আবেগ সামলাতে না পেরে শরীরে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করে আপার কাছে আমাদের দাবি পৌছানো লাগবে? পরিশেষে ভালোবাসি প্রাণের সংগঠন বাংলাদশ ছাত্রলীগকে। ভালোবাসি বর্তমান সাবেক সহ সকল ছাত্রলীগের তৃনমূলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ সকল নেতা-কর্মীকে। আপনাদের উত্তরের আশায় রইলাম।’