লাইভ ফিচার নিয়ন্ত্রণে ফেসবুকের কড়াকড়ি আরোপ

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলার ঘটনার জের ধরে লাইভস্ট্রিমিং ফিচারটি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে আজ বুধবার এ ফিচার ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

আজ এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর ক্ষতির উদ্দেশে বা বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সার্ভিস সীমাবদ্ধ করতে আরও কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি।’

বড় পরিসরের অপরাধে ফেসবুক লাইভের ‘ওয়ান স্ট্রাইক’ নীতি প্রযোজ্য হবে। এখন মন চাইলেই ফেসবুক লাইভে যাওয়ার আগে ভাবতে হবে, আপনি ফেসবুক কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন ভেঙেছিলেন কি না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে যারা ফেসবুকের সিরিয়াস টাইপের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করেছেন এবং ফেসবুক যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাদের ‘ওয়ান স্ট্রাইক’র খড়গে পড়তে হবে। যারা প্রথমবারের মতো নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তাদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লাইভের সুযোগ মিলবে না। নিয়ম ভঙ্গকারীদের অপরাধের ধরন বিচারে কয়েক দফা লাইভে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

নিয়মগুলো কী কী? ফেসবুকে আপনি যা ইচ্ছা তাই না ভেবে শেয়ার করে ফেলেন, এই ধরেন কোনো ভায়োলেন্স শেয়ার করা যাবে না, আপনি করে ফেললেন; রক্তাক্ত ছবি, ন্যুড ছবি পোস্ট করলেন- এসব ফেসবুকের নীতিবিরোধী।

অবশ্য ফেসবুক স্পষ্ট করেনি ঠিক কোন কোন নিয়ম ভঙ্গের কারণে ‘ওয়ান স্ট্রাইক’ নীতি কার্যকর হবে। আবার ঠিক কত সময়ের জন্যে ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞার শিকার হবেন তাও বলা হয়নি। অবশ্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠান আরো বেশি নিয়ম-নীতি ব্যবহারকারীদের ওপর চাপাবে।

ফেসবুক জানিয়েছে, তারা ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ প্রযুক্তি উন্নয়নে গবেষণার জন্য ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে তিন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে।

ফেসবুক এমন সময়ে লাইভস্ট্রিমিং নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিল, যখন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন অনলাইনে উগ্রবাদ ঠেকাতে আজ প্যারিসে ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’ নামে সভায় যোগ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ওই সভায় বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকবেন।