ছাত্রদল নেতা রুহুল এখন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি!

সোমবার ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক বেরিয়ে আসছে বিতর্কিতদের নানান অজানা কাহিনী। বিতর্কিতদের মধ্যে কেউ বিবাহিত, কেউ হত্যা মামলার আসামী, কেউ মাদক ব্যবসায়ী, আবার কারও কারও বিরুদ্ধে ছাত্রদলের রাজনীতি করারও অভিযোগ উঠেছে।

তেমনি একজন রুহল আমিন। তিনি সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী বলে জানা গেছে। একসময় ইউনিয়ন পর্যায়ে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বাবায়ক ছিলেন রুহুল আমিন। তিনি গাজীপুরের বিএনপি সমর্থিত সাবেক মেয়র অধ্যাপক মান্নানের অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে।

সাবেক মেয়র মান্নানের সঙ্গে রুহুল আমিন। লাল টিশার্ট।

জানা গেছে, রুহুল আমিনের বাড়ি গাজীপুর মহানগরে। ২০০৬ সালে তৎকালীন গাজীপুর সদরের কাউলতিয়া ইউনিয়নের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন শাহাদত হোসেন। তার পরিবারে অনেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।

২০১৪ সালে আওয়ামীলীগ ‍দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসলে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে সক্রিয় হন। পরে তিনি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগে এবং সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এদিকে, সোমবার ঘোষিত ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি মনোনিত হন। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সহ-সভাপতি রুহুল আমিন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক নেতা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এসব বিতর্কিত নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদায়ন করায় অনেক ত্যাগীদের স্থান পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে হয়নি। তাই অচিরেই এ ধরণের নেতাদের বাদ দেয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে রুহুল আমিন বলেন, আমি গাজীপুর মহানগর এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকাকালীন সময়ে কেউ এ ধরণের অভিযোগ করেনি। কিন্তু সহ-সভাপতি হওয়ার পর একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে রুহুল আমিনের কথা বলা হচ্ছে, সে রুহল আমিন এবং আমি এক না। আরেকজন রুহুল আমিন ছাত্রদল করতো।

এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।