ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, সরকারি ভবনে আলোকসজ্জা

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। আর আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে প্রধান জামাত। ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে বুধবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতমিন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

এছাড়া পবিত্র পবিত্র ঈদুল ফিতর দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বর্পূণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারাদেশে বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়নপূর্বক পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাব-গাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষে প্রতি বছররে ন্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে দাওয়াত দেবে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশু সদন/বৃদ্ধ নিবাস/ছোটমনি নিবাস/সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র/আশ্রয় কেন্দ্র/সেফ হোমস/ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র/দুস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম/চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সকল শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।

শিশুদের মধ্যে চকলেট/চিপস বিতরণের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিছু আর্থিক অনুদান প্রদান করবে। ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লাসহ দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

সভায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সুপ্রীম র্কোট, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ধর্ম, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সংষ্কৃতি, বস্ত্র ও পাট, মহিলা ও শিশু, যুব ও ক্রীড়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।