ক্ষমা চাইতে হবে জামায়াতকে: ডা. জাফরুল্লাহ

জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য জাতির কাছে জনসম্মুখে তাদের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ । এ সময় মঞ্চে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

‘মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে আব্দুস সালাম হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাফরুল্লাহ বলেন, জামায়াতের পিতারা যে ভুল করেছেন তার জন্য বর্তমানে যারা আছে তাদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়াই যুক্তি সঙ্গত কারণ হবে। কারণ তাদেরও রাজনীতি করার অধিকার রয়ে রয়েছে। ২০ দলের অন্যতম শরিক হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তারা যদি সত্যিকার অর্থে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় তাহলে তাদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারপাশে ‘র’ পরিবেষ্টিত। তাদের চিন্তা চেতনার কারণেই খালেদা জিয়া আজ জেলে। আর খালেদা জিয়াকে বের করে আনতে সামগ্রিক আন্দোলনের প্রয়োজন। ‘সেই আন্দোলনের মূল ভূমিকা বিএনপিকেই রাখতে হবে। বিএনপিকে সব ধরনের ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। কৃষক নিজেই ধান পুড়িয়ে ফেলছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০ তারিখের (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ২৯ তারিখে হওয়াটা ঐক্যফ্রন্টের একটা ব্যর্থতা। আর কোনো সুযোগ নাই, তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনা সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পারোয়ার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, নিলুফার চৌধুরী মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।