ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি কমাবেন যেভাবে

দেশে বাড়ছে ভুলে যাওয়া রোগ। ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত রোগীরা কিছু মনে রাখতে পারে না। ২০১৫ সালে দেশে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ। ২০৩০ সালে ওই সংখ্যা বেড়ে নয় লাখ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুষম খাদ্য গ্রহণ ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনে।ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ এড়ানোর উপায় নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


ঝুঁকি কমানোর উপায়
১. ব্যায়াম - প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে যদি ১৫০ মিনিট কঠোর কিংবা মাঝারি ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করে তাহলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত উপায়ে ব্যায়াম, সাইক্লিং কিংবা বাসা-বাড়ির কাজ করা।

২. ধূমপান বন্ধ করা - এটি মস্তিষ্ক এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকারক

৩. ভিটামিন ট্যাবলেট ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেনা।

৪. ভালো খাবার - প্রচুর পরিমাণে তাজা সবজি এবং ফল এজন্য উপকারী

৫. অতিরিক্ত মদ্যপান বন্ধ করা - অতিরিক্ত মদ্যপান ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে স্বল্প পরিমাণে মদ্যপান ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু এর পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।

৬. ব্রেন ট্রেনিং - যেসব কাজ মস্তিস্কের সাথে সম্পর্কিত সেগুলো করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমতে পারে।

৭. সামাজিক হওয়া - যদিও একজন মানুষের সামাজিক হওয়ার সাথে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হবার কোন প্রমাণ নেই। তবে বন্ধু এবং স্বজনদের সাথে সম্পর্ক থাকলে সেটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

৮. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন - এটির সাথে ভালো খাবার এবং ব্যায়ামের সম্পর্ক রয়েছে।

৯. উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন - উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিমেনশিয়ার সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র আছে।

১০. ডায়াবেটিস হলে চিকিৎসা নিন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

১১. রক্তে কোলেস্টরেল-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডিমেনশিয়ার জন্য এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।

সূত্র: বিবিসি বাংলা