প্রাথমিকের ৩২ লাখ শিক্ষার্থী পাবে দুপুরের খাবার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশের ১০৪টি উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরে রান্না করা খাবার দেয়া হবে। এর আওতায় দেশের প্রায় ৩২ লাখ শিক্ষার্থী দুপুরের খাবার পাবে। জাতীয় স্কুল মিল নীতি অনুযায়ী প্রাথমিকের বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

২০১৩ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফও) সহযোগিতায় প্রকল্পটি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা, বান্দরবানের লামা উপজেলা, বরগুনার বামনা উপজেলায় চালু করলেও এখন তা দেশের দারিদ্র্য প্রবণ এলাকার সব সরকারি প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে চালু করতে চায় তারা।

জানা যায়, আগামী ১৬ জুলাই থেকে দুপুরে খাবার দেয়ার এ কর্মসূচি আরও ১৬ উপজেলায় চালু হবে। পরে ১০৪টি উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর আওতায় আসবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ১৬টি উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখে বাকি উপজেলাগুলোয় কীভাবে কাজ করা হবে, তার ছক কষা হবে। আগামী বছরের মধ্যে এসব প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি। এর মধ্যে দারিদ্র্য প্রবণ ১০৪টি উপজেলায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ লাখের মতো। এসব উপজেলায় স্কুল মিল নীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে হিসাব মন্ত্রণালয়ের।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। সারাদেশে বাস্তবায়ন করতে গেলে এ টাকাটা লাগবে। তবে সরকারি সহযোগিতা ছাড়াও কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা তা নেব।

জাতীয় স্কুল মিল নীতির দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট থেকে প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থ বিভাগও এ প্রকল্পে অর্থ দেবে।