ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ হলে রাব্বানী অনুসারীদের ‘দুই গ্রুপের’ মধ্যে মারামারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার পর হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনের ক্যান্টিনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।

এতে অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কানে আঘাত পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত  শিক্ষার্থীর নাম কৃত্তিবাস বাড়ৈ। সে মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়াও এই ঘটনায় মারধরের শিকার হন রাব্বানীর অনুসারী লিটন বাড়ৈ, হল শাখা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সত্যজিৎ দেবনাথ, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিস।

ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে গোলাম রাব্বানীকে 'প্রটোকল' দেওয়া শেষে হলে লিটন বাড়ৈ এর নেতৃত্বে ১২-১৫ জন শিক্ষার্থী এসে অক্টোবর স্মৃতি ভবনের ক্যান্টিনে খেতে যায়। কিন্তু ক্যান্টিনে ঢোকার আগেই তাদেরকে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ঘিরে ধরে। তারা হল ছাত্র সংসদের ভিপি ও হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাসের অনুসারী। তারা কোথা থেকে আসলো এই বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এক পযার্য়ে তাদেরকে ঘিরে ধরে মারতে শুরু করে উৎপলের অনুসারীরা।

হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাসের মানা করা সত্ত্বেও গোলাম রাব্বানীকে প্রটোকল দিতে যাওয়ায় এই মারামারির ঘটনা ঘটে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। উৎপল বিশ্বাস ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে স্থান পাননি। তারা অভিযোগ করে বলেন, হল ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রিপন কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিজিৎ হিরা, অভিজিৎ মন্ডল, সহ সভাপতি প্রনব বিশ্বাস, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পঙ্কজ ঢালী মারামারিতে নেতৃত্ব দেন।

এছাড়াও উৎপলের অনুসারী লিয়ন বালা, জয়ন্ত ঘোষ, শুকদেব বাইন মারামারিতে অংশ নেন। এই ঘটনার পর বিকেলে দুই পক্ষই মধুর ক্যান্টিনে গোলাম রাব্বানীর নির্দেশে সমঝোতা করতে যান। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী তাদের বিষয়টি সমঝোতা করে দেন।

ঘটনার বিষয়ে অভিজিৎ হিরা বলেন, ‘‘আসলে এটা মারামারির কোন ঘটনা না। আমরা যারা সিনিয়র ছিলাম, তাদের নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছিলাম।’’ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কৃত্তিবাস বাড়ৈ কানে আঘাত পেয়ে ঢামেক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘এই ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেছে। আপনাদের নিউজ করা লাগবে না। এই বিষয়ে পরে আপনার সাথে পরে কথা বলবো।’’

ভুক্তভোগি লিয়ন বালা বলেন, "হলে মারামারির তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের গ্রুপের বড় ভাইরা ছিল তারা কথা বলছিলো।" তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের নিজেদের গ্রুপের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছিল। এটা তেমন কিছু না। পরে গিয়ে হালকা কেটে গিয়েছিল। পরে রাব্বানী ভাই শোভন ভাই আমাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন।’’

এই বিষয়ে জানতে উৎপল বিশ্বাসের ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।