ইউটিউবের সিলভার প্লে-বাটন পেল অজ পাড়াগা’র ইমন

বর্তমান বিশ্বের কাছে অনলাইন বিনোদনের ব্যাপক জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব। এখানে নিয়মিত বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, প্রযুক্তি বিষয়ক সহ নানা ধরনের ভিডিও আপলোড হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় একশ মিলিয়ন মানুষ ভিডিও দেখে। আর এভাবেই এই প্লাটফর্মকে কেউ কেউ অর্থ উপার্জনের মূল মাধ্যম হিসেবেই বেছে নিয়েছেন। তাই সারা বিশ্বজুড়েই ইউটিউব জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোকে বিভিন্নভাবে সম্মানিত করে থাকে।

যার অংশ হিসেবে ইউটিউব ‘সিলভার প্লে­বাটন’ সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশের অজ পাড়াগা’র ২০ বছর বয়সী তরুণ ইউটিউবার রাসেদুজ্জামান ইমন। সে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়া গ্রামের ইকরাম বিশ্বাসের বড় ছেলে। ইমনের ইউটিউব চ্যানেলের নাম “ইমন স্কোয়াড”। মার্চের শেষ দিকে এক লক্ষ সাবস্ক্রাইবার হওয়ায় তাকে এ সম্মাননা দিয়েছে ইউটিউব। গত ০৮ মে ২০১৯ তারিখে ‘সিলভার প্লে­ বাটন’ হাতে পেয়েছে ইমন। দুই মাসের ব্যবধানে বর্তমানে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখা তিন লাখেরও বেশি।

ইমন জানান, বাবার টেলিকমের ব্যবসার কারনেই ইন্টারনেটের সাথে পরিচয় বেশ আগে থেকেই। ইউটিউবে কার্টুন ও মজার ভিডিও দেখতে দেখতে নিজ থেকেই কার্টুন এ্যানিমেশন বানানো শুরু করেন। এরপর নিজের একটা চ্যানেল খোলার সিদ্ধান্ত নেন। বেশ কয়েকটি চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করতে থাকেন। কিন্তু ভালো সাড়া পাননি। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল “ইমন স্কোয়াড” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন। সেখানে তিনি কার্টুন এ্যানিমেশনের মাধ্যমে বাংলা ধাঁদা ও আইকিউ টেষ্টের বিভিন্ন মজার মজার ভিডিও আপলোড করেন। প্রথমে অন্য চ্যানেলের মতো চ্যানেলটি তেমন সাড়া না পেলেও ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে চ্যানেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেত শুরু করে। ইউটিউব থেকে বর্তমানে তার মাসিক আয় ১২০০-১৫০০ ডলারের মতো বলে জানান ইমন।

ইমন বর্তমানে কালিয়া আব্দুস সালাম ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি ইউটিউবকে পার্টটাইম পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। ইউটিউবে কাজ করলে অনেক কিছু পাওয়া যায় ও শেখা যায়। লেখাপড়া শেষে পুরোপুরিভাবে ইউটিউবার হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তিনি।

নড়াইল ডিজিটাল লাইব্রেরীর পরিচালক সাইফুল ইসলাম তুহিন জানান, ইমন একক প্রচেষ্টায় নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আমার জানামতে কালিয়া উপজেলায় সেই প্রথম ব্যক্তি যে এই সিলভার প্লে­বাটন উপহার হিসেবে পেয়েছে। এটা ভালোলাগা ও গর্বের বিষয়। আশা করি তাকে দেখে আরো অনেক তরুন এগিয়ে আসবে। চাকুরির পিছনে না ছুটে নিজেরাই আত্ম-কর্মসংস্থান তৈরি করে সমাজকে বদলে দেবে।

কালিয়া উপজেলার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা বলেন, একজন তরুনের এমন উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বেকার তরুন-তরুনিরা যদি তারমতে করে সবাই এগিয়ে আসে এবং সরকারি বিভিন্ন আইটি প্রশিক্ষন প্রোগ্রাম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করে তাহলে আরো ভালো কিছু করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।