করোনাভাইরাসের টিকা সবাই যেন পায়: রাষ্ট্রপতি

  © ফাইল ফটো

নতুন করোনাভাইরাসের টিকা যাতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই পায় সেজন্য বহুজাতিক সংস্থা এবং উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ড, ভুটান ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পরিচয় পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এই আহবান জানান।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ব দ্রুত মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যাতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলে পেতে পারে এ জন্য বহুজাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বিশ্বের দুই কোটির বেশি মানুষকে আক্রান্ত এবং প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে টিকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে অনেক দেশ।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি শিয়ার, ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুনটসে ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং-কুন পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয় পত্র পেশ করেন।

রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন সুইজারল্যান্ড, ভুটান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন তাদের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সুইস বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এর মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

ভুটানের বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করে আবদু হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। রাষ্ট্রপতি ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের এ সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

প্রেস সচিব বলেন, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তারা বাংলাদেশের সাথে নিজ নিজ দেশের বিরাজমান সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে যাবার কথা জানান।

তিন দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে একটি দল তাদের আলাদাভাবে গার্ড অব অনার দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ