'আমাদের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ছেলে ছিল সিফাত'

  © সংগৃহীত

কক্সবাজার জেলার মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক মেজর সিনহার সাথে থাকা বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতের মুক্তি চেয়েছেন তার স্বজনরা। তাদের দাবি, এই ঘটনার পর মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেয়া শিক্ষার্থী সিফাতের মুক্তি এই রহস্যময় মৃত্যু উম্মোচন করতে সহায়তা করবে।

এমন ঘটনায় পুলিশের দেয়া মামলায় গ্রেফতার সিফাতের শৈশব কেটেছে বরগুনার বামনা উপজেলায় তার নানার বাড়িতে। এসএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন সেখানেই। শিক্ষক ও বন্ধুদের মুখে সিফাতের ফটোগ্রফির শখ ও ভ্রমণ নেশার কথা উঠে আসলেও, মাদক বা বখাটেপনার কোন তথ্য মেলেনি।

সরকারি সারওয়ারজান পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মার্জিয়া আক্তার বলেন, 'সে অত্যন্ত ভদ্র মেধাবী ছেলে। তার মধ্যে কোনো উগ্রতা বা বখাটে আচরণ কখনও পাইনি।' আরেক সহপাঠী বলেন, 'আমাদের ব্যাচের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ছেলে সিফাত। সিফাতকে আমরা কখনও একটা সিগারেট খেতেও দেখিনি।'

ঘটনায় স্বজনরা বলছেন, ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার হওয়া ও আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরই প্রমাণ করে সিফাতের বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা ও সাজানো। সিফাতের দ্রুত মুক্তি মিললেই জানা যাবে আরো অজানা রহস্য- দাবি তাদের।

সিফাতের নানা এনায়েত কবির হাওলাদার বলেন, 'এক ঘটনায় ২ মামলা চলতে পারে না।' সিফাতের মামা দুলাল হাওলাদার বলেন, 'সিফাতের দ্রুত মুক্তি মিললে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।'