সরকার আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না: শিক্ষামন্ত্রী

  © ফাইল ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিমাণ শিক্ষার্থী অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছে চাকরির বাজারে সে পরিমাণ অনার্স ও মাস্টার্স এর চাহিদা রয়েছে কিনা তা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছেন তাদের অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না এবং কোন রকমের টেকনিক্যাল শিক্ষা না থাকায় তারা বেকার থেকে যাচ্ছেন। সরকার আর এই রকমের শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না। বিষয়টি বিবেচনায় সরকার শিক্ষার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস এর সভাপতিত্বে অনলাইন আলোচনা সভায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২০ এর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হল "অদম্য তারুণ্যের জন্য দক্ষতা"।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অবস্থান করছি। এর আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবের আমরা কোনো সুযোগ নিতে পারেনি। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে পরিবর্তিত শ্রমবাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, দক্ষ মানব সম্পদের চেয়ে কোন সম্পদই বড় নয়। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ শিল্পের সাথে সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে শ্রমবাজারের পূর্বাভাস দেয়া, কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণ, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান মানোন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল গঠনসহ ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়র্ক প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ শতাংশ হয়েছে। ২০০৯ সালে যা ছিল মাত্র এক শতাংশ।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মইনুল সালেহীন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ, আইএলও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি টওমো পুটিয়ানান গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিবুল আলম।


সর্বশেষ সংবাদ