মাঝিরকাটায় বিদ্যুৎ না আসলে এটাই আমার শেষ নির্বাচন: নজরুল ইসলাম

  © টিডিসি ফটো

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, বৃহত্তর মাঝিরকাটায় দ্রুত বিদ্যুৎ না আসলে এটাই আমার শেষ নির্বাচন।

বুধবার মাঝিরকাটায় ‘বৃহত্তর মাঝিরকাটা উন্নয়ন ফোরাম’র উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের উপদেষ্টা শামসুল আলম, এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কামাল হোসেন, সাবেক মেম্বার ফারুক আহমেদসহ এলাকার মুরুব্বী এবং ফোরামের সদস্যরা।

স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও বিদ্যুতের আলোর মুখ দেখেনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার অন্যতম ইউনিয়ন গর্জনিয়ার বৃহত্তর মাঝিরকাটা। নির্বাচনী ইশতেহারে সম্পূর্ণ ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন করবে বললেও পূরণ হয়নি সেসব ইশতেহার। তবে বৃহত্তর মাঝিরকাটা ব্যতিত ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে বলে জানান এলাকাবাসী।

চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৭ সালে যখন প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলাম তখনো চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমার পরে আরো দুইজন চেয়ারম্যান চেষ্টা করেও বিদ্যুৎ আনতে পারেননি।

তিনি বলেন, এখানে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ আনার জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নানাবিধ সমস্যার কারণে আমাদের উদ্যোগ ড্রপ আউট হয়ে গেছিল। কিন্তু এখন আর সেরকম কিছু হবেনা। খুব দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করব। আর তা না হলে এটাই হবে আমার শেষ নির্বাচন।

বিদ্যুতের ব্যাপারে তিনি কক্সবাজার ৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।

এলাকাবাসী জানান, বিদ্যুতের অভাবে স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর আলোর অভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকেনা। এছাড়াও গ্রীষ্মকালে বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি পড়ে থাকে অনেক জমি। বিদ্যুতের অভাবে সেচ ব্যবস্থা করতে পারছেনা ঠিকভাবে।

বৃহত্তর মাঝিরকাটা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় শিক্ষার আলো জ্বললেও বিদ্যুতের আলো আমরা পাচ্ছিনা। যার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি শিক্ষা,সংস্কৃতি এবং আধুনিকতায়।

তিনি বলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম ব্যাংক ম্যানেজার, প্রথম কামিল পাস, প্রথম স্নাতক পাস, প্রথম মাদরাসা বোর্ডে মেধা তালিকায় যারা কৃতিত্ব রেখেছেন তারা সবাই বৃহত্তর মাঝিরকাটার সন্তান। এছাড়াও এলাকার সবাই এখন শিক্ষামূখী। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে বরাবরের মত পিছিয়ে পড়ছি। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান আশা করছি।

মাঝিরকাটার সাবেক মেম্বার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা বিদ্যুতের অভাবে খুব কষ্টে আছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পাঁঁচবার জেনারেটর চালাতেও তেল খরচ হয় মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার। বিদ্যুত হলে এই ব্যয় অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বৃহত্তর মাঝিরকাটায় ছয় শত এর অধিক বাড়িঘর আছে। এছাড়াও শতাধিক দোকানপাট, ১০টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৫টির অধিক মসজিদ রয়েছে। একাধিক দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বিদ্যুতের অভাবে ভোগান্তিতে আছেন।


সর্বশেষ সংবাদ