বুড়িগঙ্গার পাড়ে আহাজারি, নিহত বেড়ে ৩০

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড। নিখোঁজ অন্যদের উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ২ জন শিশু। এদিকে লঞ্চডুবির খবর পেয়ে শ্যামবাজার এলাকায় ছুটে আসছেন স্বজনরা। তাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

সোমবার সকালে সদরঘাটের শ্যামবাজার প‌য়ে‌ন্টে ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন স্থানীয়রাও।

ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের এক স্বজন বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় আমার চাচি, চাচাতো ভাই ও বড় ভাই নিখোঁজ রয়েছেন। খবর পেয়ে আমি মুন্সীগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি। তবে এখনও তাদের সন্ধান পাইনি। ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আজ সকালে মুন্সীগঞ্জ থেকে তার আত্মীয়রা মর্নিং বার্ড লঞ্চে উঠেছিলেন বলে জানান তিনি।

আরেক স্বজন বলেন, আমার মামাতো বোন ও তার দুই সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে আমি এসেছি। তিনি বলেন, আমার মামাতো বোন পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে তারা আজ ঢাকায় ফিরছিলেন।

সূত্রে জানা গেছে, সকাল পৌনে ৮টার দিকে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে শ্যামবাজার পয়েন্টে ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

তবে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও অন্যরা তলিয়ে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।