২১ মে ২০২০, ১৬:১৩

বোরহানউদ্দিনের সকল সাংবাদিক সংগঠন পুলিশের সংবাদ বয়কটের ঘোষণা

প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা  © টিডিসি ফটো

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনের সকল সাংবাদিক সংগঠন পুলিশের ইতিবাচক সংবাদ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকে সাথে অসদাচরণ করার প্রতিবাদে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বুধবার (২০ মে) দুপুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভায় এ ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের চতুর্থ স্থান সংবাদকর্মীরা। দেশের দুর্যোগ ক্রান্তিলগ্নে এবং উন্নয়নে সকল বিষয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। মহাদুর্যোগ মুহুর্তে সারাদেশ করোনা প্রভাবে লকডাউনে। সেক্ষেত্রে একজন অসহায় নারী পুলিশের ভেরিফিকেশনে ৫ হাজার টাকা দাবি করা খুবই দুঃখজনক।

‘এই অভিযোগের ভিত্তিতে এই এসআই শফিকুল ইসলামের কাছে সাংবাদিক আবদুল মালেক জানতে চাইলে তার সাথে অসদাচরণ করা সমুচীন নয়। একজন উপ-পরিদর্শক তথা প্রশাসনের কোন ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের সাথে এমন আচরণ করতে পারে না। আমরা বোরহানউদ্দিন সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ ঐক্য বদ্ধ হয়েছি। তাই বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের সকল ধরনের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘

বক্তারা আরও বলেন, সংবাদকর্মীর সাথে অসদ আচরণের ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর হতে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো। আমরা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এ দাবি করছি।

বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা রাখেন বোরহানউদ্দিন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দিন ইসলাম রুবেল, বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি মোবাশ্বের হাসান শিপন, বোরহানউদ্দিন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাধারণ সম্পাদক নীল রতন, বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি এমএ অন্তর হাওলাদার, কাজী মো. বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ বাদশা, মো. নাছির পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল পালোয়ান, দপ্তর সম্পাদক মো. ফোরকান, বোরহানউদ্দিন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মো. নুরনবী প্রমূখ।

উল্লেখ্য, উপজেলার বড়মানিকা ১নং ওয়ার্ডের অসহায় রোশনারা কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। গত ১৯ মে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি আবদুল মালেক উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের কাছে এ ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তার সাথে অসদাচরণ করেন এ উপ-পরিদর্শক। এ ঘটনাটি দৈনিক যুগান্তর, ভোরের কাগজসহ জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পোর্টাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং ভোলা জেলা ও উপজেলার সাংবাকিরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন।