টিউশন ফি না নেয়াসহ ৩ দাবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের

  © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সকল বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি না নেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বুধবার রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. তুহিন ফারাবী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক দুর্যোগ ঘোষিত করোনা ভাইরাস(কোভিড ১৯) এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে দুর্যোগকালীন সাধারণ ছুটি। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর পরামর্শে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন নির্ভর ক্লাস নেয়া শুরু করেছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরে বা গ্রামাঞ্চলের হওয়ায় এবং সে সব অঞ্চলে ইন্টারনেট গতি সীমিত ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে না। অধিকন্তু অনলাইন ক্লাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত না হওয়ায় এর সাথে মানিয়ে নেওয়াও কষ্টসাধ্য হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেমিস্টার ফি দাবি করছে। এই দুর্যোগে প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ দুর্যোগকালীন সময়ে কোন ভাবেই সেমিস্টার ফি পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের প্রতি উদার হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সাথে নিম্নোক্ত দাবি-দাওয়া গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে।

তাদের তিনদফা দাবি হল..

১. সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন নির্ভর সকল কর্মকাণ্ড (ক্লাস, পরীক্ষা, ভর্তি) বন্ধ করতে হবে।
২. এই দুর্যোগ থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার ফি আদায় করা যাবে না এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চলমান সেমিস্টার থেকে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্যোগকালীন ফান্ড তৈরি ও বিতরণ করতে হবে।