করোনা: রাজধানীর ৫২ এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১০:০৫ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১০:২০ PM
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে। এরইমধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় রাজধানীর ৫২টি এলাকা লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ। এসব এলাকার কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না, কেউ ঢুকতেও পারবেন না।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা রোগী শনাক্ত হলেই পুরো এলাকা লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ লকডাউন করার এ পদক্ষেপ নেয়। এসব এলাকায় সার্বক্ষনিক পুলিশি পাহারা রয়েছে।
এছাড়া দিনরাতে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের আগে কেউ বাসার বাইরে থাকলে ভেতরে যেতে পারবেন। কিন্তু কেউ বের হতে পারবেন না। বের হতে চাইলে অনুমতি নিয়ে বের হতে হবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ১০টি এলাকা লকডাউন করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, যেসব এলাকায় করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সে এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সংক্রমণের শুরুর দিকে মিরপুরের টোলারবাগে করোনা রোগী পাওয়ায় ওই এলাকা লকডাউন করা হয়। এরপর পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেন, মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ছয়টি এলাকা, বাবর রোডের একাংশ, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা, কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড লকডাউন করা হয়।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় করোনায় আক্রান্ত নারী রোগী পাওয়ার পর সেখানকার একটি রাস্তা লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউন করা এলাকার মধ্যে রয়েছে, মহাখালীর আরজত পাড়ার একটি ভবন, বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা, ডি ব্লকের রোড-৫, বুয়েটের আংশিক, ইস্কাটনের দিলু রোডের একাংশ, মিরপুরের টোলারবাগ, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক।
এছাড়া কাজীপাড়ার একাংশ, সেন্ট্রাল রোডের কিছু অংশ, সোয়ারীঘাটের কিছু অংশ, মিরপুর-১০ এলাকার ৭ নম্বর রোড, পল্টনের কিছু অংশ, আশকোনার অংশবিশেষ, নয়াটোলা, সেনপাড়া ও মীর হাজিরবাগের একটি অংশ, নন্দীপাড়ার ব্রিজের পাশে, মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক, লালবাগের খাজে দেওয়ান রোড রয়েছে।
পাশাপাশি ধানমন্ডি-৬-এর একাংশ, উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর-১৩ ডেসকো কোয়ার্টার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী, পশ্চিম মানিকনগর, নারিন্দার একাংশ, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল এলাকা ও ইসলামপুরের একাংশ লকডাউন করা হয়েছে।