বাংলাদেশকে পিপিই দিলো চায়না রেলওয়ে গ্রুপ

  © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মূল প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)।

সহায়তা হিসেবে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (পিপিই) ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি প্রদান করেছে তারা।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় সিআরইসির কার্যালয়ে এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে পিবিআরএলপির পক্ষে সিআরইসির কন্ট্রাকটর্স প্রতিনিধি ওয়াং কুন সেনাবাহিনীর কর্নেল ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লে. কর্নেল ডাক্তার আব্দুল ওয়াবের কাছে এই সুরক্ষা সরঞ্জামাদি হস্তান্তর করেন।

সিআরইসি দু’টি হাসপাতালকে ১০ হাজার ৮০ টি এন৯৫ পার্টিকুলেট রেসপিরেটরস, ৪০ হাজার ডিসপোসেবল সার্জিক্যাল মাস্ক, ১ হাজার মেডিকেল প্রটেকশন গাউন, চারশ’ মেডিকেল গগলস ও ৫০০ টি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট দেয়। সিআরইসির প্রতিনিধি ওয়াং কুন এর মতে, অনুদান হিসেবে সিআরইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে দেয়া পিপিইর প্রথম ব্যাচ এটি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মারাত্মক আকারে রূপ নিলে সিআরইসি আরও সহায়তা দেবে।

এ বিষয়ে সিআরইসির ওয়াং কুন বলেন, ‘চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, দ্রুত ও নির্ভুল পরীক্ষা ও চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আমরা যে, বৈশ্বিক মহামারীর মুখোমুখি হয়েছি তা শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নব্বই দশকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে সিআরইসি এবং সে থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে আমরা এগিয়ে যা”িছ। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সহায়তা বাংলাদেশের শুভাকাক্সক্ষী এবং এ দেশের প্রতি সিআরইসির অঙ্গীকারেরই প্রতীক।’

ওয়াং কুন আরও বলেন, ‘কর্মরত অবস্থায় সিআরইসির কোন কর্মী যেনো কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত না হয় এ জন্য একটি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশে আমাদের ৯ হাজার কর্মীর জন্য আমরা চীন ও স্থানীয় বাজার থেকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণ ক্রয় করেছি। এগুলোর মধ্যে মাস্ক, সুরক্ষিত পোশাক, কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট, গগলস, হ্যান্ড গ্লাভস, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, ডিসইনফেকটেন্টস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। ভাইরাসে যেনো কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য এই উপকরণগুলো চীনা ও স্থানীয় কর্মীদের মাঝে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ ওয়াং কুন বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমানে উদ্ভূত প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প ও পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ