প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ চায় টিইএবি

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ দেয়ার দাবি জানিয়েছে টুরিজম এডুকেটরস এসোসিয়েসন বাংলাদেশ (টিইএবি)। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভয়াবহ মন্দার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও আজ করোনার আঘাতে ধংশপ্রাপ্ত। দেশের শিল্প কারখানাগুলো বাচাতে এবং দরিদ্র মানুষের জন্য বিনা মূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বিশেষ পণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছেন যা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় প্রদান করা হবে।

তারা বলেন, এর মধ্যে রয়েছে শিল্প সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চলতি মূল্ধন হিসাবে স্বল্প সুদে ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর (কুটির শিল্পসহ) চলতি মূল্ধন হিসাবে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে বাদবাকি টাকা বন্টন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই মহতি উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।

তারা আরো বলেন, টুরিজম বাংলাদেশের একটি প্রসারমান শিল্প। অন্যান্য সকল সেবা ও শিল্প খাতের মত এই শিল্পও করোনার প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ। কারো কারো মতে এখন পর্যন্ত টুরিজম এবং হসপিটালিটি সেক্টরে সার্বিক ক্ষতির পরিমান আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার উপর। এই প্রেক্ষিতে প্রনোদণা প্যাকেজ এর একটি অংশ টুরিজমের জন্য আলাদা করার প্রয়োজন আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, স্টার হোটেল এবং বড় রিসোর্টগুলোকে বড় শিল্প হিসাবে বিবেচনা ও মাঝারি, ছোট হোটেল এবং বড় রেস্টুরেন্ট গুলোকে মাঝারি শিল্প এবং টুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট গুলোকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। বিটিবি এবং বিপিসি এর তত্বাবধানে শিল্পগুলোর স্কেল নির্ধারণ করা হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে চলতি মূলধন বাবদ ঋণ দেবে। এখানে কোন ক্রমেই ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটি সেক্টরের কোন সমিতি, ফেডারেশন বা প্রতিষ্ঠান যেমন পাটা, টোয়াব, ট্রিডাব, টিডাব, হোটেল মালিক সমিতি ইত্যাদিকে জড়িত করা চলবেনা। সুবিধাভোগকারীদের তালিকা বিটিবি এবং বিপিসি থেকেই করা হোক। সুবিধাভোগকারী সংস্থাগুলো নিজ নিজ ব্যাংকের সাথে তাদের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই  কে কত ঋণ পাবে তার ব্যবস্থা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করেছেন তার সঠিক এবং সৎভাবেই ব্যবহৃত হোক উল্লেখ করে তারা বলেন, সেটি হলে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আবারো ঘুরে দাড়াতে পারবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সমর্থ হবে। বাংলাদেশের টুরিজম শিল্প আবারো মাথা উচু করে দাঁড়াবে এই কামনা করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।


সর্বশেষ সংবাদ