করোনা: কানাডায় প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কানাডার রাজধানী শহর অটোয়ায় মারা গেছেন বাংলাদেশি শরিয়ত উল্লাহ (৫৫)। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান নাগরিক, যিনি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। গতকাল স্থানীয় কুইন্সওয়ে কার্লটন হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহতের পারিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৭ মার্চ বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় শরিয়ত উল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় পাপাইয়া রেস্টুরেন্টে কাজ করার সময় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষে গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।

স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ছিল শরিয়ত উল্লাহর সংসার। বাংলাদেশের ফেনী জেলার সন্তান নিহত শরিয়ত উল্লাহর দু ভাই কানাডার মন্ট্রিয়েল ও অটোয়া শহরে থাকেন। নিহতের জানাজা কিংবা দাফনের ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুতে কানাডার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের পাশাপাশি বেড়েছে উদ্বেগ।

এদিকে গতকাল টরন্টোর এক হাসপাতালে মারা গেছেন মৌলভীবাজার জেলা অ্যাসোসিয়েশন, টরন্টোর উপদেষ্টা আব্দুল বাছিত। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে গুঞ্জন থাকলেও তাঁর পরিবার বলছে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা।

টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এলাকায় এখন আর সেই ভিড় নেই। গ্রোসারি দোকানগুলোতে মানুষের উপস্থিতি নেহাত কম। পার্শ্ববতী পেট্রল পাম্প কফি শপে কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে পাম্প।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা, গ্রেটার ফরিদপুর জেলা অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার সভাপতি সালাম শরীফ ও সমাজকর্মী তুতিউর রহমান। সরকারি নানা সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠকেরা নানাভাবে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা ও সহযোগিতামূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৮। আর মৃতের সংখ্যা ২৩৩ ছাড়িয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ