করোনার মধ্যেই এলো ৫ জন মিলে ধর্ষণের খবর!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুলিশ পরিচয়ে করোনা রোগী তল্লাশির কথা বলে ঘরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জামালপুরে সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার একটি জঙ্গল থেকে আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

ওইদিন দুপুরে কিশোরীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরে সোমবার (৩০ মার্চ) রাশেদুল ইসলাম পুষন ও মিজানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩ জনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় মিজান (২০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা সোমবার বলেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে করোনা ভাইরাসের রোগী আছে, বাড়ি তল্লাশি করা হবে বলে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে কয়েকজন। দরজা খুলে দেখি ৫/৬ জনের একদল যুবক। প্রথমে তারা পানি খেতে চায়। পানি এনে দিলে আমার মেয়ের হাত ধরে জোর-জবরদস্তি শুরু করে। বাধা দেওয়ায় গলায় ধারালো ছুরি ধরে মারধর করে মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে যায় তারা।

তিনি আরও বলেন, ৫ জনের মধ্যে একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পুষন এবং ওর বন্ধু টগার চরের মিজানকে চিনতে পারি। অনেক খোঁজাখুজির পর রোববার সকালে নদীর পাড়ের জঙ্গল থেকে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান জানান, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মিজান নামে এক আসামিকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) দেলোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দেশের এই দুঃসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে করোনা রোগী তল্লাশির নামে অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ