করোনার মাঝেও মাছ ধরার উৎসব, সংঘর্ষ

  © সংগৃহীত

দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউন চলছে। জনসমাগম ঠেকাতে নামানো হয়ে সেনাবাহিনী। তবে এসব কিছুর তোয়াক্ক না করেই সুনামগঞ্জের দৌলতা নদীতে মাছ ধরতে যান হাজার হাজার লোক। তাতেই বাধে বিপত্তি। নদীর তীরবর্তী লোকজন একাজে বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

জানা গেছে, নদীর আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ কয়েক যুগ ধরে নির্ধারিত একদিন সম্মিলিতভাবে মাছ ধরেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল থেকে পলো ও হাতের ঠেলাজাল নিয়ে মাছ ধরতে নামেন তেরানগর, চান্দরনগর, ছেলাইয়া, মাহমুদপুর, শুকুর মাহমদপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। তারা দুপুরের দিকে রাজাপুর গ্রামের পাশে পৌছলে গ্রামবাসী এভাবে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। একইসাথে জানান তাদের সীমানার পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা হয়। তর্কের জেরে মাছ ধরতে থাকা লোকজন গ্রামবাসীকে ধাওয়া করেন। তারা এক পর্যায়ে গ্রামে ডুকে হামলা করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল, থানার ওসি সাইফুল ইসলামসহ পুলিশ টিম ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে। তারা বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

রাজাপুর গ্রামের কীর্তন সরকার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের অংশে পানি ঘোলা করে মাছ না ধরতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা এই অজুহাতে গ্রামে ঢুকে হামলা করেছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিছু লোক নদীতে জোরপূর্বক মাছ ধরছিলেন। এতে অন্যরা বাধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।’


সর্বশেষ সংবাদ