করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত: প্রধানমন্ত্রী

  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। বাংলাদেশও এ সংক্রমণ থেকেও মুক্ত নয়। এ পরিস্থিতিতে এবার ভিন্নভাবে স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে স্বাধীনতা দিবস-২০২০ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জানি আপনারা এক ধরনের আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যাদের আত্মীয়স্বজন বিদেশে আছেন, তারাও নিকটজনদের জন্য উদ্বিগ্ন। সবার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। কিন্তু এই সংকটময় সময়ে আমাদের ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ মেনে চলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরামর্শ, আমাদের যতটা সম্ভব মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। যারা করোনাভাইরাস-আক্রান্ত দেশ থেকে স্বদেশে ফিরেছেন, সেসব প্রবাসীদের হোম-কোয়ারেন্টিনসহ (বাড়িতে সঙ্গ-নিরোধ) সব নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

শেখ হাসিনার কথায়, মাত্র ১৪দিন আলাদা থাকুন। আপনার পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী, এলাকাবাসী ও সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এসব নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন। যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। বাইরে জরুরি কাজ সেরে বাড়িতে থাকুন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মনে করেন, কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সহজ হবে। যেমন– ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি দিলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নেওয়া, যেখানে-সেখানে কফ-থুথু না ফেলা।

করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয় বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর, এ ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ও বয়স্ক মানুষদের জন্য জীবাণুটি প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে। সেজন্য আপনার পরিবারের সবচেয়ে সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন। তাকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন এবং ভাইরাসমুক্ত রাখার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিন।

দেশের নাগরিকদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার প্রধান। তিনি মনে করেন, আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়। সবসময় খেয়াল রাখুন আপনি, আপনার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা যেন সংক্রমিত না হয়। আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে ও সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।