চীনের করোনা প্রভাবের ধাক্কা যশোরে

চীনের করোনা প্রভাবের ধাক্কা পড়েছে যশোরে। করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাবে উৎপাদন ও রফতানি কমেছে যশোরের দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে। ক্ষতির মুখে পড়েছে আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানও। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ কর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার এসএএফ লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শতভাগ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রক্রিয়াজাত করা চামড়ার ৬০ শতাংশই রফতানি হয় চীনে। সম্প্রতি চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবে রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সেইসাথে কমেছে উৎপাদনও। একই অবস্থা যশোর বিসিকের এমইউসি ফুডেও। চীনে চিংড়ি রফতানি করলেও করোনার প্রভাবে তা বন্ধ হয়ে গেছে। মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে আমদানি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের ফিফটি পারসেন্ট কর্মীরা এখন ছুটিতে আছে। যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, করোনার সমস্য দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন, আর বেড়ে যাবে মানুষের জীবনযাপনের খরচও।

এ ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, মসলা থেকে শুরু করে অনেক জিনিসই চীন থেকে আনি আমরা। ফলে এগুলো যদি না ব্যবহার করতে পারি তাহলে দাম বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

যশোর থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি বছরে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করে। যার মধ্যে চীনে রফতানি হয় অর্ধেকের বেশি।


সর্বশেষ সংবাদ