ময়লার ভাগাড় নোয়াখালী পৌরসভা, জনজীবন বিপর্যস্ত

নোয়াখালী জেলা শহরের আনাচে কানাচে ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী বাজার এলাকা থেকে দত্তেরহাট পর্যন্ত প্রধান সড়কের পাশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ময়লার ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে জনসাধারনের দৈনন্দিন জীবন-যাপন এখন হুমকির মুখে।

জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে নোয়াখালী পৌরসভার আওতাধীন বাসা-বাড়ি, হাসপাতাল, হাট-বাজারগুলো থেকে ময়লা অপসারন করা হচ্ছে না। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনাগুলো শহর থেকে দূরে আইয়ুবপুর এলাকায় স্থানান্তর করা হতো। সম্প্রতি স্থানীয়রা (আইয়ুবপুর বাসী) সেখানকার পরিবেশগত ঝুঁকি ও রোগ বালাইয়ের কারণ দেখিয়ে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেয়। আর এ কারণেই শহরের প্রতিদিনের প্রায় ৮টন ময়লা-আবর্জনা গত দুই সপ্তাহ ধরে পড়ে আছে রাস্তার পাশে এবং বাসা-বাড়ি, হাসপাতালগুলোর সামনেই।

পৌরবাসীর অভিযোগ, হঠাৎ করে পৌরসভার পক্ষ থেকে ময়লা অপসারন না করায় বাসা-বাড়ি, রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং শহরের হাসপাতালগুলোর সামনে ময়লার স্তুপ বেড়েই চলছে। এসব ময়লার ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। আর দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।

নোয়াখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পলাশ জানান, পৌরসভা কোথায় ময়লা ফেলবে সেটা তারাই ঠিক করবে। জনসাধারনের কষ্ট ও সমস্যা কি পৌর মেয়রের চোখে পড়ছে না? ২নং ওয়ার্ডের আকলিমা খানম অভিযোগ করে বলেন, একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর অপরাজনীতি না করে জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পৌর মেয়রকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পৌর মেয়র ময়লা অপসারণের ব্যর্থতা অস্বীকার করতে বা দায় এড়াতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন।

নোয়াখালী পৌরসভার প্রধান মেডিকেল অফিসার প্রনয় কুমার দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধ থেকে ডাইরিয়া, হাঁপানি ও চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে হাসপাতালের বর্জগুলো খুবই ভয়ানক। তাই এভাবে চলতে থাকলে শহর অঞ্চলের মানুষের জন-জীবন হুমকির মুখে পড়বে।

প্রসঙ্গত নোয়াখালী পৌরসভা ময়লার শহরে পরিণত হবার জন্য পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করা হলেও সাংসদ তা প্রত্যাখ্যান করে উপরন্তু পৌর মেয়রকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


সর্বশেষ সংবাদ