৩৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই

  © ফাইল ফটো

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যপুস্তকে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস নিয়ে বিভিন্ন প্রবন্ধ পড়লেও বাস্তবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া জাতীয় এ দিবসটিতে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৪৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৪৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৫৪টি প্রতিষ্ঠানে। বাকি ৩৮৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ পর্যন্ত কোনো শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫-৩৮ হাজার, দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল ও এবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রায় ২৫ হাজার এবং মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে থাকেন।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক জানান, তাদের সন্তানরা যে সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে সেখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ফলে তারা বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেন না। এ অবস্থায় অন্যান্য বছরের মতো এবারও কলাগাছ, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ বানিয়ে শহীদ দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনা পারভীন জানান, উপজেলায় শিশুকল্যাণ স্কুলসহ সরকারিভাবে ১৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টিতে শহীদ মিনার নির্মাণ রয়েছে। ২৫টি স্কুলে শহীদ মিনার নতুন করে নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের উচিত ছিলো অনেক আগেই নিজ উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করা। কিন্তু এতদিনেও তা করা হয়নি।

তবে তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই চলতি মুজিববর্ষেই এ উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


সর্বশেষ সংবাদ