মুজিববর্ষ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি

তরুণ সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানবে

  © টিডিসি ফটো

মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে তরুণ সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) ২য় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মিরপুর সেনানিবাসস্থ এনডিসি প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেছেন। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১  পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোও বাংলাদেশের সাথে মুজিববর্ষ পালন করবে। এটি অত্যন্ত গৌরবের। মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ বিশেষত তরুণ সমাজ আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষ সহ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সশস্ত্র বাহিনীর সকল ইউনিট এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত রুপকল্প ২০২১ ও রুপকল্প ২০৪১ এর আলোকে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ায় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার ও গর্বের প্রতীক। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে-কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনডিসি কমাডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধানসহ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তা এবং এনডিসি বিভিন্ন কোর্সের অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ