১৬ জানুয়ারি ২০২০, ২০:১৮

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত: কৃষিমন্ত্রী

  © ফাইল ফটো

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমবে। শিগগির বাজারে এর প্রভাব পড়বে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে এবং অন্যান্য দেশ থেকেও এসময় পেঁয়াজ আসবে। কোনওক্রমেই পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি থাকবে না। এটা অবশ্যই কমে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা পেঁয়াজের ওপর গবেষণা করেছি এবং বিজ্ঞানীরা অনেক উন্নতমানের জাত আবিষ্কার করেছে। যা হেক্টরে ২০, ২৫, ৩০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির কারণে সব মসলা বাংলাদেশে হয় না। অনেক মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যেগুলো আমাদের দেশে হয় সেগুলো তো উৎপাদন করছি এবং চালাচি জাতীয় মসলা যারা আবাদ করবে তাদের ৪ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে কৃষককে প্রণোদনা দেয় বা ঋণ দেয়। কৃষকরা যদি মসলা, পেঁয়াজ উৎপাদন করে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, এলাচির দাম আন্তর্জাতিক বাজারেই বেশি। তাছাড়া সবজির দাম এবার তুলনামূলকভাবে বেশি। একদিকে সবজি আবাদ করতে যে খরচ হয়, সে অনুযায়ী কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। আবার যেটা অস্বাভাবিক সেটাও গ্রহণযোগ্য না। আমরা এমন একটা জায়গায় আছি আমাদের জন্য উভয় সঙ্কট।

সাংসদ আয়েন উদ্দিনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনও সঙ্কট সৃষ্টি হবে না।

তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।