৩০ জানুয়ারি পূজা নয়, শিক্ষার্থীরা না বুঝে আন্দোলন করছে: ইসি সচিব

সরস্বতি পূজা ৩০ জানুয়ারি নয়, ২৯ তারিখ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো: আলমগীর। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ তারিখ পূজার দিন এবং সরকারি ছুটিও রয়েছে ওইদিন— এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা না বুঝেই আন্দোলন করছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কমিশনের বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের বৈঠকটি ছিল আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয়ে আলোচনা, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পূজার বিষয়ে আগেই বলা হয়েছে এটি পরিবর্তন হয়নি। কমিশন আগেই বলেছে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ তারিখ হলো পূজা, ৩০ তারিখে পূজা নেই। আর ১ তারিখ থেকেই মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা। মাঝে সময় একদিনই আছে ৩০ তারিখ, যেদিন নির্বাচন করা যায়। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাইকোর্টে রিট করেছিল, সে রিটটিও খারিজ হয়ে গেছে। কারণ তাদের যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে তা তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আদালত নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখটি যুক্তিযুক্ত মনে করেছে তাই রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।

ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, তারা (রিটকারীরা) বলেছিলেন আপিল করবেন, কিন্তু আমি কিছুক্ষন আগে পর্যন্ত যে খোঁজ নিয়েছি এখন পর্যন্ত কোন আপিল করা হয়নি। যেহেতু আপিল হয়নি, আর আপিল বিভাগ থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি তাই নির্বাচন কমিশন ৩০ তারিখ যে নির্ধারিত তারিখ রয়েছে সেটি ঠিক আছে।

ভোটের তারিখ পরিবর্তনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এতে নির্বাচনে প্রভাবে পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কথা না। কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যাবে- তাদের ঠিক হচ্ছে না আন্দোলন করা। এটা হয়তবা তারা না বুঝে করছে। তাদের বুঝতে হবে সরস্বতি পূজা হলো ২৯ তারিখ, নির্বাচন হচ্ছে ৩০ তারিখ। ১ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা, ফলে নির্বাচন পেছানো বা আগানোর কোন সুযোগ নেই।

মো: আলমগীর বলেন, নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় ৩০ তারিখ, সেদিন নির্বাচন হবে। যারা ছাত্ররা আন্দোলন করছে তারা বয়সে নবীন, তারা হয়ত কেউ বুঝে কেউ না বুঝে করছে। আমার ধারণা একটু পরেই বুঝে যাবে এটা আসলে করা ঠিক হচ্ছে না।

এদিকে সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে পদযাত্রা করে তারা। পরে শাহবাগে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাড়াও বিভিন্ন হলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। পরে তারা প্রায় দুই ঘন্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে। এসময় সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও তাদের কর্মসূচি রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ