ন্যায্য দামে ধান বিক্রিতে অ্যাপ

  © সংগৃহীত

সরকারের নির্ধারিত সময়ে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত অর্ধেক কৃষক চূড়ান্ত করবে কৃষি বিভাগ। যশোর সদর উপজেলা থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৮২৬ মেট্রিক টন। চলতি আমন মৌসুমে এক হাজার ৪০ টাকা মণ হিসেবে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার এমনটাই সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এ ধান সংগ্রহে যশোরসহ ১৬ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ বছর অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে ন্যায্য দামে ধান বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর এতে যশোর সদরের কৃষকরা ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করায় প্রান্তিক কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, একেবারে নতুন এই পদ্ধতি সফল করতে তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছেন। এজন্য কৃষকরা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। ‘আশা করছি প্রকৃত প্রান্তিক কৃষক ধান বিক্রি করতে পারবে।’

যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লিয়াকত আলী জানান, যশোর সদরে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমেই সব ধান কেনা হবে। এ জন্য নিবন্ধন শেষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকের আবেদন যাচাই-বাছাই ও কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে। এরপর নির্ধারিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, প্রতি মণ এক হাজার ৪০ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের জন্য সরকার এবার পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষি বিভাগ আবেদন যাচাই বাছাই করে অটোমেটিক পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কৃষক চূড়ান্ত করবে।

তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ে যশোর সদরে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক অ্যাপে নিবন্ধন করেছে। যে ইউনিয়নে যেমন ধান চাষ ও চাষি রয়েছে; সেখান থেকে সেই পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা হবে।

কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘পদ্ধতিটি নতুন। তাই কৃষককে বিশ্বাস করানোটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আমরা কৃষক প্রতি এক মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের কথা ভাবছি। এতে ২ হাজার ৮২৬ চাষির কাছ থেকে ধান নেয়া সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, পদ্ধতিটি নতুন হওয়ায় তারা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে চাষিদের আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দিনরাত কৃষককে বুঝিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যান, মেম্বর ও কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। কৃষকদের কাছে গিয়ে জানানো হচ্ছে। ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকৃত কৃষকরা যাতে নিবন্ধন করে আমন ধান সরবরাহ করতে পারেন সেজন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হয়।

 


সর্বশেষ সংবাদ