ভারত থেকে অনুপ্রবেশ বাড়ায় সীমান্তে নজরদারিতে গ্রামবাসীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৩৯ AM , আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৩৯ AM
ভারত থেকে অনুপ্রবেশ বাড়ায় সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে রাত জেগে পাহারায় দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
গত ২৮ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর চরখানপুর সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার জন্য চরখানপুর গ্রামের শত শত বাসিন্দা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
গত রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে পদ্মা নদী পার হয়ে চরখানপুরে টর্চলাইট ও লাঠি হাতে নিয়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সীমান্তের ১৬৩-১ এস পিলারের পাশে দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য এরশাদুল হকসহ ১০ জন বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে বিজিবির সদস্যরাও ছিলেন।
ইউপি সদস্য এরশাদুল হক জানান, বিজিবির প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে বুঝিয়ে এই দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পালা করে গ্রামের সবাই এই দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রামটির বাসিন্দারা জানান, গত ২৮ নভেম্বর তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজিবি ব্যাটালিয়ন-১–এর আওতাধীন চরখানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা। গ্রামবাসীসহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুজন সদস্য। সভায় সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গ্রামবাসীর সহযোগিতা চায় বিজিবি।
পাহারায় আবদুস সাত্তার নামের একজন বয়স্ক বাসিন্দাকেও দেখা যায়। তিনিও একটি লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন সবার সঙ্গে। পাহারায় ছিলেন গ্রামের কৃষক মো. জুয়েলও (২৮)। তিনি বলছিলেন, দিনের বেলায় মাঠের কাজ শেষে রাতে সীমান্ত পাহারা দিতে এসেছেন। গতকাল আলোর পাঠশালার দশম শ্রেণির ছাত্র মিন্টু শেখের (১৬) পাহারা দেওয়ার পালা পড়েছিল সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। মিন্টু জানায়, রাতের প্রথমার্ধে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এসে পাহারায় দাঁড়ায় সে। দেশের ভালোর জন্য গ্রামের লোকেরা বিজিবিকে সহযোগিতা করছে। এ কাজ করে তারও ভালো লাগছে।
চরখানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৭ নভেম্বর তাঁরা জানতে পারেন ভারত থেকে ওই সীমান্তপথে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। এ জন্য পরের দিনই তিনি গ্রামের ইউপি সদস্য এরশাদুল হক ও কোহিনুর বেগমকে ডেকে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় গ্রামের বাসিন্দারা সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত পালা করে পাহারায় থাকবেন। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এক দল আর রাত ১২টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত আরেক দল গ্রামবাসী বিজিবির সঙ্গে যোগ দেন। উৎসাহ দিতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।